কলকাতা: সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিম। বৃহস্পতিবারই তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে সিপিএমের যে পরিস্থিতি, তাতে এই দায়িত্বকে ‘কাঁটার মুকুট’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংগঠনকে নতুন করে একসূত্রে বেঁধে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই চ্যালেঞ্জ সেলিমের কাছে। নবীন-প্রবীণকে সঙ্গে নিয়ে চলা, মোটেই সহজ কথা নয় বলছেন তাঁরা। কিন্তু এ নিয়ে কী বলছেন সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক? মহম্মদ সেলিম টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, “কাঁটার মুকুট তো সকলের ভাগ্যে জোটে না। কাকাবাবু মুজফ্ফর আহমেদের একটা কথা আছে, পথে যতই কাঁটা থাকুক, যতই ঝঞ্ঝা থাকুক, যতই বাঁক-মোড় থাকুক আমাদের রাস্তা আমরা ছাড়ব না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সময়োপোযোগী ও যুগপোযোগী করতে হবে। কিন্তু মন্ত্র একটাই, লক্ষ্য স্থির রেখে চরৈবেতি।” আর এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু তেজি ঘোড়া তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি।
এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে ঠাসা তরুণ মুখ। নতুন নাম হিসাবে যেমন যুক্ত হয়েছে শতরূপ ঘোষ, শেখ ইব্রাহিমরা। তেমনই এবারও রয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাসরা। এছাড়াও আরও বহু তরুণ তূর্কীকে রাখা হয়েছে এবারের কমিটিতে। এ প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু তেজি ঘোড়ার দরকার ছিল। তারা কারও রথ টানার জন্য নয়, কাউকে সওয়ার করার জন্য নয়, দুরন্ত বেগে ছোটবার জন্য। লক্ষ্যে স্থির থেকে লড়ার জন্য। আমরা এই কমিটিতে কয়েকজনকে শামিল করেছি। আরও অনেকেই জেলা কমিটিতে, এরিয়া কমিটিতে শামিল হয়েছে। আরও অনেক রয়েছে যারা কোনও কমিটিতে শামিল হয়নি। আন্দোলন সংগ্রামের মিছিলের পথে শামিল হবে, তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মহম্মদ সেলিম। সেখানেও তিনি বলেন, “রেড ভলান্টিয়ারকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামেও তাঁদের ব্যবহার করার দায়িত্ব আমাদের বড় কাজ।” বিধানসভাতে সিপিএমের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। বিরোধী পরিসরে এই মুহূর্তে বিজেপি দাপাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের একাধিক জনপ্রকল্প পালে হাওয়া দিচ্ছে তৃণমূলকে। নিঃসন্দেহে এই সময়টা বঙ্গ সিপিএমের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।
এই কঠিন সময়ে দলকে টেনে তোলার গুরুভার পড়েছে মহম্মদ সেলিমের কাঁধে। সম্প্রতি পুরনির্বাচনে লালের আভাস দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। জোট ছাড়াই এসেছে এই সাফল্য। এবার সেলিমের দায়িত্ব দলকে মাঠে নামানো। হাতে পেয়েছেন কিছু ‘তেজি ঘোড়া’। তাদের কীভাবে কাজে লাগান সেটাও দেখার।
যদিও মহম্মদ সেলিমের এই দায়িত্বগ্রহণের দিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “সবই বোঝা যাচ্ছে। সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে সিপিএম আর তৃণমূল তো মারামারি করছে এখন। বিজেপি এর মধ্যে নেই। আমরা ভোটারকে ভোটার হিসাবেই দেখি। হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে দেখি। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাস করি।”
আরও পড়ুন: WB CPIM: সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাজ্য কমিটিতে শতরূপ-মীনাক্ষী-সৃজন
কলকাতা: সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিম। বৃহস্পতিবারই তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে সিপিএমের যে পরিস্থিতি, তাতে এই দায়িত্বকে ‘কাঁটার মুকুট’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংগঠনকে নতুন করে একসূত্রে বেঁধে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই চ্যালেঞ্জ সেলিমের কাছে। নবীন-প্রবীণকে সঙ্গে নিয়ে চলা, মোটেই সহজ কথা নয় বলছেন তাঁরা। কিন্তু এ নিয়ে কী বলছেন সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক? মহম্মদ সেলিম টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, “কাঁটার মুকুট তো সকলের ভাগ্যে জোটে না। কাকাবাবু মুজফ্ফর আহমেদের একটা কথা আছে, পথে যতই কাঁটা থাকুক, যতই ঝঞ্ঝা থাকুক, যতই বাঁক-মোড় থাকুক আমাদের রাস্তা আমরা ছাড়ব না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের সময়োপোযোগী ও যুগপোযোগী করতে হবে। কিন্তু মন্ত্র একটাই, লক্ষ্য স্থির রেখে চরৈবেতি।” আর এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু তেজি ঘোড়া তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি।
এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে ঠাসা তরুণ মুখ। নতুন নাম হিসাবে যেমন যুক্ত হয়েছে শতরূপ ঘোষ, শেখ ইব্রাহিমরা। তেমনই এবারও রয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাসরা। এছাড়াও আরও বহু তরুণ তূর্কীকে রাখা হয়েছে এবারের কমিটিতে। এ প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু তেজি ঘোড়ার দরকার ছিল। তারা কারও রথ টানার জন্য নয়, কাউকে সওয়ার করার জন্য নয়, দুরন্ত বেগে ছোটবার জন্য। লক্ষ্যে স্থির থেকে লড়ার জন্য। আমরা এই কমিটিতে কয়েকজনকে শামিল করেছি। আরও অনেকেই জেলা কমিটিতে, এরিয়া কমিটিতে শামিল হয়েছে। আরও অনেক রয়েছে যারা কোনও কমিটিতে শামিল হয়নি। আন্দোলন সংগ্রামের মিছিলের পথে শামিল হবে, তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মহম্মদ সেলিম। সেখানেও তিনি বলেন, “রেড ভলান্টিয়ারকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামেও তাঁদের ব্যবহার করার দায়িত্ব আমাদের বড় কাজ।” বিধানসভাতে সিপিএমের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। বিরোধী পরিসরে এই মুহূর্তে বিজেপি দাপাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের একাধিক জনপ্রকল্প পালে হাওয়া দিচ্ছে তৃণমূলকে। নিঃসন্দেহে এই সময়টা বঙ্গ সিপিএমের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।
এই কঠিন সময়ে দলকে টেনে তোলার গুরুভার পড়েছে মহম্মদ সেলিমের কাঁধে। সম্প্রতি পুরনির্বাচনে লালের আভাস দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। জোট ছাড়াই এসেছে এই সাফল্য। এবার সেলিমের দায়িত্ব দলকে মাঠে নামানো। হাতে পেয়েছেন কিছু ‘তেজি ঘোড়া’। তাদের কীভাবে কাজে লাগান সেটাও দেখার।
যদিও মহম্মদ সেলিমের এই দায়িত্বগ্রহণের দিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “সবই বোঝা যাচ্ছে। সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে সিপিএম আর তৃণমূল তো মারামারি করছে এখন। বিজেপি এর মধ্যে নেই। আমরা ভোটারকে ভোটার হিসাবেই দেখি। হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে দেখি। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাস করি।”
আরও পড়ুন: WB CPIM: সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাজ্য কমিটিতে শতরূপ-মীনাক্ষী-সৃজন