Cyber Crime: থাইল্যান্ড থেকে অর্ডার দিয়েছিলেন ব্যবসার জিনিস, এক ক্লিকেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫২ লক্ষ, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Nov 11, 2021 | 9:35 PM

Kolkata: কম দামে জিনিস কিনতে পারবেন দেখে আর সাতপাঁচ না ভেবে ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া ইমেল আইডিতে মেইল করেন প্রতারিত ব্যবসায়ী।

Cyber Crime: থাইল্যান্ড থেকে অর্ডার দিয়েছিলেন ব্যবসার জিনিস, এক ক্লিকেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৫২ লক্ষ, মাথায় হাত ব্যবসায়ীর!
ধৃত শিবু সরযূ রায় , নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: কথায় বলে ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তায় ব্য়বসার জিনিস আনতে গিয়ে এত বড় দাম যে তাঁকে দিতে হবে তা ভুলেও ভাবতে পারেননি কলকাতার এক ব্যবসায়ী। প্রতারকদের ফাঁদে পা দিতেই অ্যাকাউন্ট থেকে উড়ল  ৫২ লক্ষ টাকা! নিমেষে চোখের পলকে এমন ঘটনা ঘটবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একজন প্রতারক (Fraud) গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

ঠিক কী হয়েছিল? সূত্রের খবর, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগরের ওই ব্যবসায়ীকে এক ডাকে চেনেন অনেকেই। রসায়নাগারের নানা যন্ত্রপাতি জোগান দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক ভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তাঁর। মাস দুই আগে নিজের ব্যবসায়িক প্রয়োজনের কিছু জিনিস অনলাইনে অর্ডার করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন তিনি। সেইসময় একটি লিঙ্ক তাঁর চোখে পড়ে। কৌতূহলবশত লিঙ্কটি খুলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তিনি। নিজের ব্যবসার জিনিস বেশ কম দামে পেয়েও যান। তবে দেখেন গোটাটাই থাইল্যান্ডের কোম্পানি।

কম দামে জিনিস কিনতে পারবেন দেখে আর সাতপাঁচ না ভেবে ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া ইমেল আইডিতে মেইল করেন প্রতারিত ব্যবসায়ী। যথাসময়ে মেইলের উত্তর আসে। দেওয়া হয় যোগাযোগের নম্বরও। সেইমতো ফোনও করেন তিনি। তখন তাঁকে বলা হয়, একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাঙ্কউন্টে ৪২ লক্ষ টাকা জমা করতে হবে। অ্যাকাউন্টের যে তথ্য দেওয়া হয় তা সবই থাইল্যান্ডের। নির্দেশমতো, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। একাধিক মেইল চালাচালিও হয় উভয়পক্ষে।

এরপর, আচমকা একদিন সব বন্ধ। এদিকে জিনিসও এসে পৌঁছয়নি। অগত্যা ফের মেইল চালাচালি। কড়া ভাষায় মেইল করতেই কয়েকদিন পর ওই ব্যবসায়ীর ফোনে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, অর্ডার দেওয়া সব জিনিসই চেন্নাই পৌঁছে গিয়েছে। ব্যাংককে নেই। চেন্নাই থেকে ওই সমস্ত জিনিস সংগ্রহ করতে হবে। তারজন্য আরও ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে। এমনকী তাঁকে একটি ট্র্যাকিং আইডি ও একজন এজেন্টের নম্বর দেওয়া হয়। দেওয়া হয় অন্য আরেকটি ব্যাঙ্কের ডিটেইলসও। সেই অ্যাকাউন্টটি আবার একটা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার, যা চেন্নাইতে রয়েছে।  নিজের জিনিসগুলি দ্রুত হাতে পেতে নির্দিষ্ট অ্য়াকাউন্টে আরও ১০ লক্ষ টাকা জমা করে দেন ওই্ ব্যবসায়ী। তারপর সব শেষ। মাস গেলেও আর বাড়ি আসেনি  জিনিস। বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ করেন তিনি।

প্রতারণার ঘটনায়, দ্রুত তদন্তে নামে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যে যে ওয়েবসাইট, মেইল আইডি ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল যোগাযোগের জন্য সবকটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেগুলির আইপি অ্যাড্রেস-সহ অন্যান্য নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ওই সমস্ত ফোনকল, মেইল আইডি  ও সাইটের পরিচালক মুম্বইয়ের। সেখান থেকে যোগ রয়েছে বিহারের দ্বারভাঙ্গায়। এরপর আর দেরি করেননি তদন্তকারী অফিসাররা। বিহার পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বারভাঙ্গা, মধ্যপুর অভিযান চালান লালবাজারের গোয়েন্দারা। প্রতারণার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবু সরযূ রায় নামে এক বছর চৌত্রিশ বছরের যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই চক্রের বাকিদের এখনও হদিশ মেলেনি। আপাতত ধৃতকে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: Adhir Chaudhuri: ‘বিজনেস সামিটের টাকায় মোচ্ছব, দেউচা পাচামি তো কুমিরছানা’

Next Article