Cyclone Remal: রেমাল কলকাতাকে লেজে খেলাতে পারে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নবান্নে প্রস্তুতি…

Deeksha Bhuiyan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 24, 2024 | 9:39 PM

Cyclone Remal: জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের প্রশাসনকে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। শুক্রবার থেকেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব নিয়েছেন আইএএস আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবারই আধিকারিকদের নিয়ে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে নবান্নে।

Cyclone Remal: রেমাল কলকাতাকে লেজে খেলাতে পারে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নবান্নে প্রস্তুতি...
ছবি Windy

Follow Us

কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে আবহাওয়া দফতরের সতর্কতার পর প্রশাসনও সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। সময় একেবারেই হাতে নেই। রবিবার রাতে ঝড়ের ল্যান্ডফল। কলকাতায় বইতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড়। উপকূলে ১০০ পার। তবে শনিবার থেকেই দুর্যোগের দুর্ভোগ শুরু হবে। শুক্রবার এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ ইতিমধ্যেই দুই রাজ্যের প্রশাসনকে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। শুক্রবার থেকেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নবান্নে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব নিয়েছেন আইএএস আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবারই আধিকারিকদের নিয়ে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে নবান্নে।

কন্ট্রোল রুমের নম্বর ১০৭০ এবং (০৩৩) ২২১৪ ৩৫২৬। পাশাপাশি জেলাগুলিতেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশগামী অয়েল ট্যাঙ্কারের যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। শুরু হয়েছে মাইকিং। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্র থেকে ফেরানোর কাজ চলছে।

শনিবার সকাল থেকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা খালি করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার রেমাল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম সতর্ক। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে হট লাইনের মাধ্যমে যাতে যোগাযোগ রাখা যায় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

শনিবার উপকূলের জেলায় ভোট। সাধারণত এই ধরনের দুর্যোগের সময় স্থানীয় স্কুলগুলিতে দুর্গতদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এবার তো স্কুলে স্কুলে বুথ। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে শিক্ষা দফতরকে উপকূলবর্তী কিছু স্কুল ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে যাতে সেখানে বাসিন্দাদের রাখার ব্যবস্থা করা যায়। উপকূলের জেলাগুলিতে নদীর কিংবা সাগরতীরে বাস যাঁদের, তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে সরানোর পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত করা শুরু। প্রশাসন নিজের মত করে সব ব্যবস্থা করে রাখলেও সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার।

Next Article