কলকাতা: নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। ডিএ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার মামলায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টে শুনানিতে বিচারপতি জানান, শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন মামলায় আপাতত কিছু বলবে না হাইকোর্ট। তবে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
বুধবার ছিল ডিএ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি। এর আগে শুনানিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। এদিন রাজ্যের কর্মচারী সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় ১০ টি ত্রুটি রয়েছে। কর্মচারী সংগঠনের আরও দাবি, কোর্ট ফির ২ হাজার ৩৩০ টাকা জমা করেনি রাজ্য। একথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘যা ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করতে এক মিনিট সময় লাগে।’ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দায়ের করা মামলা এখনও স্থায়ী নম্বর পায়নি বলেও জানানো হয়েছে আদালতে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে, তাই আপাতত হাইকোর্ট কোনও মন্তব্য করবে না, তবে খুব বেশি দেরি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বারবার দাবি জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। স্যাটের রায় বহাল রেখে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। সেই মতো অগস্ট মাসেই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তা না মেটানোয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। সেই মামলা এখনও চলছে আদালতে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল। সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে আদালতে। এই ইস্যুতে বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।