BSF: ২ দিন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি, চিনার পার্কে হোটেল থেকে উদ্ধার BSF কনস্টেবলের দেহ
BSF: জানা গিয়েছে, গত দু'দিন ধরে ওই বিএসএফ কনস্টেবলের রুম থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এদিন দুপুরে ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিমানবন্দর থানার পুলিশ এসে রুমের দরজা খুলে মেঝের উপর পড়ে থাকতে দেখে ওই কনস্টেবলকে।

কলকাতা: ২ দিন থেকে হোটেলের রুম থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেশ হোটেলের বন্ধ রুম থেকে এক বিএসএফ কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার হল। সোমবার চিনার পার্কের ওই হোটেল থেকে মঙ্গল ঢিলান নামে ওই বিএসএফ কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। দেহটিকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। আগামিকাল ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হবে আরজি কর হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, মৃত বিএসএফ কনস্টেবলের বাড়ি পঞ্জাবের সুলতানপুরে। চলতি মাসের ৩ তারিখে তিনি চিনার পার্কের এই হোটেলে ওঠেন। গত এক মাস থেকে ছুটিতে ছিলেন। চলতি মাসের চার তারিখে পাঁচ নম্বর ব্যাটেলিয়ন দিল্লি হেডকোয়ার্টার্স সিজিও কমপ্লেক্সে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কাজে যোগ না দিয়ে এই হোটেলে ছিলেন।
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরে ওই বিএসএফ কনস্টেবলের রুম থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এদিন দুপুরে ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিমানবন্দর থানার পুলিশ এসে রুমের দরজা খুলে মেঝের উপর পড়ে থাকতে দেখে ওই কনস্টেবলকে। দেহটি পচতে শুরু করেছিল। হোটেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হোটেলের রুমে এসি চালু থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়নি। ফলে তারাও কোনও কিছু সন্দেহ করেনি।
হোটেলের রুম থেকে বেশ কয়েকটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই মৃত্যু কি না, তা এখনই বলতে পারছে না পুলিশ। আগামিকাল আরজি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

