কলকাতা: আবহওয়া অফিসের তরফে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরির খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী এক-দুদিনের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলে জানা গিয়েছে। তখন এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ৪ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কিন্তু এর প্রভাব বাংলার আবহাওয়ায় পড়বে বলে মত মৌসম ভবনের।
অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আছড়ে পড়লেও ঠিক কোথায় তা পড়বে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। কিন্তু ল্যান্ডফলের পর উত্তর এবং উত্তর-পূর্বে বাঁক নিতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তা যত হবে ততই এই দুর্যোগ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে এগিয়ে আসবে। এর জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে। তা হলে কৃষিকাজে বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
তবে বঙ্গে বৃষ্টির বিষয় নিয়ে হাওয়া অফিসের তরফে এখনও কিছু জানানো না হলেও এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে জলীয় বাস্প ঢুকবে। যত তা পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে এগিয়ে আসবে, ততই বঙ্গে জলীয় বাস্পের ঢোকা বৃদ্ধি পাবে। এর জেরে উত্তুরে হাওয়া ব্যাপক ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর জেরে ঠান্ডা যে আগামী কয়েক দিনে বাড়বে না তা নিশ্চিত ভাবে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম যদি বাংলার উপকূলের দিকে বাঁক নিতে শুরু করে। তাহলে এ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। তা হলে কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও চলছে ধান কাটার কাজ। বৃষ্টি হলে তা বাধা পাবে। ধান উঠলেই শুরু হয় যায় আলুচাষ। আলুর বীজতলার জন্য শুকনো মাটির প্রয়োজন হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে মাটি যাবে ভিজে। তখন আলুর বীজ বপনের কাজ পিছিয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।