Dengue Cases in Baguiati: ডেঙ্গু আক্রান্ত বাগুইআটি থানার আরও এক পুলিশ আধিকারিক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 05, 2021 | 12:27 PM

Baguiati: ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এ বছর বেড়েই চলেছে বিধাননগর পুর নিগম এলাকায়। কিছুদিন আগেই করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল বাস টার্মিনার্সে পাওয়া গিয়েছিল ডেঙ্গি মশার লার্ভা।

Dengue Cases in Baguiati: ডেঙ্গু আক্রান্ত বাগুইআটি থানার আরও এক পুলিশ আধিকারিক
ক্রমেই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা: কিছুদিন আগেই বাগুইআটি থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলেছিল মশার লার্ভার। তার আগেই বাগুইআটি থানার দুই পুলিশ আধিকারিক ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এবার এই থানারই আরও এক সাব ইন্সপেক্টর ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেন।

বৃহস্পতিবার প্রভেশনাল সাব-ইন্সপেক্টর মলয় সমাজপতির প্রবল জ্বর আসে। এরপরই তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। সেখানেই দেখা যায় শরীরে ডেঙ্গুর থাবা পড়েছে।

বাগুইআটি থানা এলাকা যেন ধীরে ধীরে মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বাগুইআটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কল্লোল ঘোষ-সহ চারজন পুলিশ কর্মী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন।

এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। বিধাননগর পুরনিগম থানা চত্বর পরিষ্কার করানোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাতেও যে কতটা লাভ হয়েছে মলয় সমাজপতির ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবরে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এ বছর বেড়েই চলেছে বিধাননগর পুর নিগম এলাকায়। কিছুদিন আগেই করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল বাস টার্মিনার্সে পাওয়া গিয়েছিল ডেঙ্গি মশার লার্ভা। টায়ারের মধ্যে ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র ও জমে থাকা জল পরীক্ষা করে দেখা হয়। পাওয়া যায় লার্ভা। একই সঙ্গে করুণাময়ী বাস টার্মিনাসের পিছনের একাধিক হোটেলে ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছিল।

হোটেলগুলিতে যে ড্রামে জল রাখা হয়, সেখানে ভর্তি ছিল মশার লার্ভা। পাশের ড্রেনের মধ্যেও প্রচুর লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। পুরনিগমের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল, এই সমস্ত দ্রুততার সঙ্গে না পরিষ্কার করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরনিগম। কিন্তু এরপরও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু কমছে না।

ডেঙ্গুর উপসর্গ

যে কোনও রোগেরই উপসর্গ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে রোগ মোকাবিলার প্রথম ধাপটাই আপনি জেনে গেলেন। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সময় মতো রোগ নির্ণয় করা দরকার। চোখের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, বমি, হাড়ের ব্যথা, ফুসকুড়ি, পেশী ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি বা অস্থিরতার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক হোন। এগুলি ডেঙ্গুর উপসর্গ।

ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে ডেন ২ সব থেকে মারাত্মক। এর পিছনেই রয়েছে ডেন ৩। মাইক্রো বায়োলজিস্টরা বলছেন, ‘ডেন ২ ডেন ৩ মারাত্মক। অথচ এবারও শোনা যাচ্ছে এই দু’টো এ রাজ্যে ভালই পাওয়া যাচ্ছে। ডেন ৩ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।’ সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ছয় থেকে সাতদিনের মধ্যে সেরে যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। ডেন ২ বা ডেন ৩ ঘটাতে পারে ডেঙ্গু হেমারেজ। এর ফলে শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee’s Last Journey Live Update: শেষ যাত্রায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, দেহ নিয়ে আসা হল রবীন্দ্রসদনে

Next Article