কলকাতা: এ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ডেঙ্গি মশা। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গত দু’দিন আগে দুর্গাপুজোর মধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল সন্তোষপুরের বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের মামনি নস্করের। তবে ওই এলাকার অবস্থা যে ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে তা জানালেন এলাকার বাসিন্দারা।
যাদবপুরের নিউ সন্তোষপুর এলাকার জনতা রোড। সেখানে ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেউ না কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। অভিযোগ, ঘরে-ঘরে ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন। কারও বাড়িতে দু ‘জন, আবার কারও বাড়িতে একজন। প্রতিটি বাড়ি ডেঙ্গিতে বিপর্যস্ত। এলাকার অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি।
শুধু তাই নয়, হাসপাতালে গিয়েও মিলছে না বেড। ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশের এখন এই অবস্থা। দু’দিন আগে দুর্গাপুজোর মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মামনি নস্করের। ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার মধ্যে অধিকাংশেরই দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গি। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। কিন্তু একাধিক বহুতলগুলিতে কোনও বাসিন্দা নেই। দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে। কিন্তু ছাদগুলিতে জমা জলেই কোনওভাবে ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। আর তার জন্য এলাকায় বাড়ছে মশার দাপট।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা মশারি টাঙিয়ে ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু মশার প্রকোপ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে। ওই ওয়ার্ডের ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর দাবি, “উনি যেখানে থাকেন সেটা বস্তি অঞ্চল। ওই এলাকায় কলকাতা পুরসভা থেকে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক অনেকেই ফ্ল্যাট কিনে সেই ফ্ল্যাট ফেলে রাখেন তালা-চাবি দিয়ে। ছাদের মধ্যে জল জমে বাড়ছে ডেঙ্গি মশার লার্ভা। এটা চিন্তার বিষয়।”
স্বপন নস্কর নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,”এখানে অনেকেই আক্রান্ত। সারাক্ষণ মশার ধুপ জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এলাকা পরিষ্কার রয়েছে।” আরও এক বাসিন্দা বলরাম সর্দার বলেন, “কয়েকদিন আগে আমার হয়েছিল। আমার স্ত্রী আক্রান্ত। মেয়েরও হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল ভর্তি নিতে চায়নি।”