কলকাতা: বাংলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভাল নয়। বলছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। এ বছর শহর থেকেও এডিস ইজিপ্টাইয়ের হানায় বেশি কাবু গ্রাম বাংলা। আর সেখানেই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাব্যক্তিরা। তবে রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠছে রাজ্যে তথ্য গোপনের অভিযোগ। জনস্বাস্থ্যে রোগ মোকাবিলার প্রথম শর্তই হল প্রকাশ্যে আক্রান্ত-মৃতের তথ্যপ্রকাশ। অভিযোগ উঠছে ২০১৮-১৯ সাল, এই দুবছর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামে কোনও তথ্যই দেয়নি স্বাস্থ্য ভবন। যার প্রেক্ষিতে ডেঙ্গি খাতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। পরে অবশ্য ২০২০ সাল থেকে ফের তথ্য দিতে শুরু করে রাজ্য।
গত কয়েক বছরের ডেঙ্গির পরিসংখ্যা দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে
গত ছ’বছরে রাজ্যের ডেঙ্গি ছবি:
২০১৭
আক্রান্ত ৩৭৭৪৬
মৃত্যু: ৪৬
২০১৮
এনসিভিবিডিপি’তে তথ্য দেয়নি রাজ্য
২০১৯
এনসিভিবিডিপি’তে তথ্য দেয়নি রাজ্য
২০২০
আক্রান্ত ৫১৬৬
মৃত্যু ০০
২০২১
আক্রান্ত ৮২৬৪
মৃত্যু ০৭
২০২২
আক্রান্ত ৬৭২৭১
মৃত্যু ৩০
তথ্যসূত্র: এনভিবিডিসিপি
এই তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ন’গুণ। মৃতের সংখ্যা সাত থেকে ৩০। এ বছর জুলাইয়েই অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত জুলাইয়ের তুলনায় আক্রান্ত দ্বিগুণ! ১৬২৬ থেকে বেড়ে ২৬৪৪! কোথায় গিয়ে থামবে ডেঙ্গি? প্রহর গুনছে স্বাস্থ্য ভবন।
গড়ে মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশই গ্রাম বাংলার। জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা মনে করছেন, এর পিছনে কিছুটা হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন ফ্যাক্টর হয়েছে। কারণ জুন জুলাই মাসে পঞ্চায়েতের বেশ কিছু কাজ থমকে ছিল। মশার লার্ভা নিধনের কাজও সে অর্থে হয়নি। ফলে বংশবৃদ্ধি হয়েছে এডিসের।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “বর্ষা এলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বাড়ে। আমাদেরই সচেতন হতে হবে। আমাদের টিম যাচ্ছে। যেখানে যেখানে লার্ভা মিলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবার গ্রামে, পুরসভার, পুরনিগম পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রভাব বেশি।”