কলকাতা: যাদবপুরে বেলাগাম ডেঙ্গি পরিস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও মশার উপদ্রব অব্যাহত। তাই ডেঙ্গি ঠাকাতে আপাতত অনলাইনে ক্লাসের ভাবনা। হস্টেল খালি করে পড়ুয়াদের সরিয়ে দেওয়ার ভাবনা কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবার। কীভাবে অনলাইন ক্লাস করানো যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
বস্তুত, করোনার সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পঠন-পাঠনের দিকে হেঁটেছিল। করোনা পরবর্তীকালে এই প্রথম অনলাইন পঠন-পাঠনের কথা মাথায় আনতে হচ্ছে মশার দাপটের জন্য। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা-জমা জল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। খোদ ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছিলেন। তবে ক্যাম্পাস এতটাই বড় তার উপর সাফাই কর্মীর সংখ্যা কম থাকার দরুণ কোনও ভাবেই মশার উৎপাত কমানো যাচ্ছে না বলে সূত্রের খবর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে হস্টেলের ৩০ জন আবাসিক ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছেন শতাধিক। তার মধ্যে আবার একজন পড়ুয়া মারাও গিয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাস বা ক্লাস সাসপেন্ড করার কথা ভাবছে। গতকালের ইসি-র বৈঠকে ডেঙ্গি পরিস্থিতির বিষয় উল্লেখ করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিভাগীয় প্রধানদের মতামত নিয়েই সবটা ঠিক করা হবে।
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “সব জায়গায় যে রকম হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও সেই রকম বাড়াবাড়ি হয়েছে। হস্টেলে যাতে পড়ুয়ারা না থাকে ভাল হয় এমন প্রস্তাব এসেছে। কারণ প্রতিটি পড়ুয়া অসুস্থ হলে তাঁদের কেয়ার করার মতো পরিষেবা আমাদের কাছে নেই। সেই কারণেই ভাবা হচ্ছে অনলাইন ক্লাসের বিষয়টি।”