Dengue: কমছে ডেঙ্গির দাপট? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 22, 2022 | 11:57 PM

Dengue: রবিবার ও সোমবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪১৬ ও ৪১৯। সেখান থেকে মঙ্গলবার অনেকটাই কমেছে দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।

Dengue: কমছে ডেঙ্গির দাপট? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগের

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) যে বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল, তাতে খানিক স্বস্তি দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫ হাজার ৭২১টি রক্তের নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭১জন। শনিবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৭৮। তারপর রবিবার ও সোমবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪১৬ ও ৪১৯। সেখান থেকে মঙ্গলবার অনেকটাই কমেছে দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। গত দুই দিনে যেভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল, সেখান থেকে অনেকটাই কমেছে মঙ্গলবার।

তাহলে কি এবার ধীরে ধীরে ডেঙ্গি কমতে শুরু করছে রাজ্যে? বিশিষ্ট চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই বলছেন, “যেভাবে শীত পড়ছে আস্তে আস্তে, তাপমাত্রা কমতে শুরু করছে… যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে ডেঙ্গি থেকে আমরা এই মরশুমের মতো মুক্তি পেতে পারি। কারণ, ডেঙ্গি মশার বংশবিস্তার বা জীবনদশা পুরোটাই নির্ভর করে তাপমাত্রার উপর। তাপমাত্রা যদি ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে শুরু করে, তাহলে দেখা যায় মশার বংশবিস্তারের হারও কমে যাচ্ছে এবং একইসঙ্গে মশার আয়ুও কমে যায়।”

ডেঙ্গির পরিসংখ্যান

একটি পূর্ণবয়স্ক ডেঙ্গি মশা চার সপ্তাহ পর্যন্ত বাঁচতে পারে। একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে কামড়ালে, চার সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ছড়াতে পারে। চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই জানান, তাপমাত্রা যদি কমতে শুরু করে, তাহলে আয়ু বা জীবনদশা অনেকটা কমে যায়। তাই যদি এইভাবে তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং যদি নতুন করে বৃষ্টি না হয়, তাহলে আশা করা যায়, আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হবে। এমনই মনে করছেন অনির্বাণবাবু। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, শীত পড়লে রাজ্যে ডেঙ্গির প্রভাব কমতে শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতির উপর লাগাম টানতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই জোর দেওয়া হয়েছে রক্ত পরীক্ষার জন্য। পৃথক ফিভার ক্লিনিকও খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।

Next Article