R Ahmed Dental College: ডাক্তার নেই, মরচে পড়া যন্ত্র, ‘হাল’ দেখে ডেন্টাল কলেজের আসন কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ কাউন্সিলের
R Ahmed Dental College: সম্প্রতি ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া কলকাতার এই ডেন্টাল কলেজ পরিদর্শনে এসেছিল।
কলকাতা : ‘ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র পরিদর্শনে কার্যত ডাঁহা ‘ফেল’ করল আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ (R Ahmed Dental College)। সেই কলেজের পরিকাঠামো ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। রিপোর্ট জুড়ে শুধুই ঘাটতির ফর্দ! আগামী শিক্ষাবর্ষে বিডিএসের ৫০ শতাংশ আসন হ্রাসের সুপারিশ করল কাউন্সিল। এই রিপোর্ট যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে বিপাকে ফেলবে, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নেই পর্যাপ্ত অধ্যাপক, রয়েছে কর্মীর ঘাটতি, যন্ত্রাংশে মরচে পড়ে গিয়েছে। ল্যাবরেটরির অবস্থাও তথৈবচ। ডিসিআইয-এর রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের এই ডেন্টাল কলেজের পরিকাঠামো। রাজ্যের দন্ত চিকিৎসায় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ঐতিহ্যবাহী। এই রিপোর্ট সামনে আসার পর সাধারণ মানুষ কতটা আস্থা রাখবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পরিদর্শনের পর ডিসিআই একটি লম্বা রিপোর্ট দিয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যার তালিকা বেশ দীর্ঘ। মোট ১৯ দফা খামতির কথা জানা হয়েছে সোই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, অর্ধেক যন্ত্রাংশই নেই ওই মেডিক্যাল কলেজে। থাকলেও সে সব আলমারিতে বন্দি। পড়ুয়ারা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। অকেজো হয়ে সে সব পড়ে রয়েছে। কোনও কোনও যন্ত্রে মরচে পড়ে গিয়েছে। ওপিডিতে রোগী বা স্পেশাল কেস সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকাঠামোর অবস্থা বিবেচনা করে অবিলম্বে আসন সংখ্যা কমানোর কথা বলা হয়েছে কাউন্সিলের তরফে। শুধু বিডিএস কোর্সের ক্ষেত্রে নয়, এমডিএস কোর্সের আসন সংখ্য়া কমানোর কথাও বলা হয়েছে। বিডিএস-এ বর্তমানে ১২৫ টি আসন রয়েছে। সেই সংখ্যা ৬৩ তে নামিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূলত যে সব অভিযোগ সামনে এসেছে…
১. স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা কম।
২. ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মীর সংখ্যা কম।
৩. প্রশাসনিক কাজের কর্মীর সংখ্যা কম।
৪. স্টাফ কোয়ার্টারের জায়গা কম।
৫. গবেষণা বা হাতে কলমে শেখার ল্যাবরেটরি নেই পর্যাপ্ত।
৬. চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই।
৭. যথেষ্ট অধ্যাপক নেই, পর্যাপ্ত বই নেই।
একটি মেডিক্যাল কলেজের পক্ষে এই রিপোর্ট যে খুব একটা ভাল নয়, সেটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।