Dengue: ৩ মাস আগে বৈঠকের পরও ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, কাউন্সিলরদের গলদ রয়েছে মানছেন ডেপুটি মেয়র

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 13, 2022 | 7:39 AM

Dengue Fever: ডেঙ্গি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে শহরে। প্রতিদিনই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

Dengue: ৩ মাস আগে বৈঠকের পরও ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত,  কাউন্সিলরদের গলদ রয়েছে মানছেন ডেপুটি মেয়র
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: এইসময় জেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে। তিন মাস আগেই কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিল পুরসভা। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় পিছিয়ে পড়ছে পুরসভা। গলদ রয়েছে কাউন্সিলরদের। মানছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। শুরু হয়েছে রাজনৈতির চাপানোতরও।

ডেঙ্গি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে শহরে। প্রতিদিনই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। মাস তিনেক আগেই দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে ডেঙ্গির প্রস্তুতি বৈঠক করেছিলেন ডেকেছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কিন্তু সেই বৈঠকের পরেও শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক সচেতনতার অভাব ছিল তা স্পষ্ট। আর সেইকারণেই পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় কাউন্সিলরদের যে গলদ রয়েছে তা স্বীকার করেন অতীন ঘোষ।

ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম যে কোন জায়গা আমাদের ধরতে হবে, কোন জায়গা আমাদের চিনত হবে ও কোন জায়গায় কাজ করতে হবে। তবে এখন যা ফলাফল এতে দেখা যাচ্ছে যে কোথাও দুর্বলতা ছিল।’

যদিও পুরসভার ডেঙ্গি নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। বলেন, ‘বিরোধী কাউন্সিলর তো আছি মাত্র পাঁচ-ছ’জন। বাকি তো ওনারা। কী করলেন। তাহলে আমরা কি কাউন্সিলর নই? ওই দিদিমণির প্রশাসনিক সভার মতো। প্রশাসনিক লোক নিয়ে মিটিং করা হবে। আমার অঞ্চলে ডেঙ্গি হয় না!’

এ দিকে, শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পরিত্যক্ত ফাঁকা জমি। উত্তরের থেকে দক্ষিণ কলকাতায় পরিত্যক্ত জমি, পুকুর, নর্দমা সংখ্যা সবচেয়ে
বেশি।

পরিসংখ্যান বলছে…

ফাঁকা জমি রয়েছে ৩৮৩টি
নির্মীয়মাণ বাড়ির সংখ্যা ১ হাজার ৬৮৪
পুকুর রয়েছে ৪৩৩টি
নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৫৪৫
পাতকুয়ো রয়েছে ১ হাজার ৭৬৬টি

ডেঙ্গির জীবাণুবাহী ইডিস, ইজিপটাই মশার পছন্দের আঁতুড়ঘরই হল এইসব পরিত্যক্ত জমি, পুকুর ও নর্দমা। অপরদিকে, দক্ষিণ কলকাতায়

ফাঁকা জমির সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮টি
নির্মীয়মাণ বাড়ি রয়েছে ২ হাজার ৮৪৪ টি
পুকুর রয়েছে, ১ হাজার ৪৯০ টি
নর্দমার সংখ্যা ১১ হাজার ২০৬ টি
পাতকুয়ো ১০ হাজার ৪৭ টি

পুরসভার বরো ভিত্তিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা থেকেও উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫২। দক্ষিণ কলকাতায় ৮ বরো থেকে ১৪ বরো ৪ হাজার ৬২৭ জন আক্রান্ত।
উত্তর কলকাতায় বরো ১ থেকে ৭ এর মধ্যে ১ হাজার ৩৭১ জন আক্রান্ত।
জোকা ও গার্ডেনরিচ বরো ১৫ থেকে ১৬ মধ্যে ৫৪ জন আক্রান্ত।

পরিত্যক্ত জমি নিয়ে রাজ্য সরকার কড়া কোনও আইন তৈরি করুক, চাইছে পুরসভা। অতীন ঘোষ বলেন, ‘সরকারকে খালি জমি রাখার ক্ষেত্রে কড়া আইন প্রণয়ন করতে হবে। খালি জমি যাঁরা অকারণে ফেলে রেখে দিয়েছেন আশেপাশের মানুষ সেখানে ময়লা ফেলছেন। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’ যদিও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন খালি জমি পুরসভা পরিষ্কার করে জরিমানা ধার্য করতে পারে। কিন্তু এছাড়া কোনও কিছু করার ক্ষমতা পুরসভার নেই বলে কটাক্ষ সজল ঘোষের।

শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই এবার নতুন স্ট্রেন ডেঙ্গি DEN3-তে আক্রান্ত বলে দাবি পুরসভার। যার চিকিৎসার প্রটোকল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বা রাজ্য সরকারের কাছে না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তাই ডেঙ্গি DEN3 চিকিৎসার প্রটোকল তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।

 

 

Next Article