কলকাতা : গত লোকসভা নির্বাচনের পরই ঘুরে দাঁড়াতে তৎপর হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই ভোট কুশলী হিসেবে আসরে নামানো হয় প্রশান্ত কিশোরকে। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের সাফল্যে সেই প্রশান্ত কিশোর তথা তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের বড় অবদান ছিল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পুরভোটেও উল্লেখযোগ্য এসেছে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কিন্তু এরই মধ্যে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের দূরত্ব কি বাড়ছে? এই প্রশ্ন যখন সামনে আসতে শুরু করেছে, তার মধ্যেই জল্পনা আরও বাড়ালেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি জানালেন আইপ্যাক নেহাতই তৃণমূলের রাজনৈতিক সহযোগী।
ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, তৃণমূল হল একটি রাজনৈতিক দল ও আইপ্যাক হল রাজনৈতিক সহযোগী। তিনি আরও জানান, প্রশান্ত কিশোর বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে হতে হবে এমন কোনও বিষয় নেই। রাজ্যসভার সাংসদ উল্লেখ করেন, তৃণমূলের চাহিদা অনুযায়ী আইপ্যাক নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে। তারা সেই কাজ ভাল করেছে বলেও মন্তব্য করেন ডেরেক।
ডেরেক ও’ব্রায়েন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, তৃণমূলই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা আইপ্যাকের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করেছে। তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছে আইপ্যাকের সঙ্গে। তিনি আরও বলেছেন, একেবারে তৃণমূলস্তরে পৌঁছে গিয়ে যোগাযোগ তৈরি করা এবং নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করাই হল আইপ্যাকের কাজ। তবে কোনও ব্যাপারে তৃণমূলের ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সমিতিই যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, সে কথা সাফ জানিয়েছেন ডেরেক।
সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফেলেইরো, অন্যদিকে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে এই দুই ভিন রাজ্যের নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের অবদান রয়েছে বলেই মনে করেন অনেকে। আর এই নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বেড়েছে।
শোনা যাচ্ছে কলকাতা পুরভোটের আগে দলের প্রার্থী তালিকা বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রশান্ত কিশোর যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা মানেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও কংগ্রেসকে নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সাম্প্রতিক মন্তব্যও জল্পনা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : Narendra Modi meeting: ‘সতর্ক ও সাবধান থাকুন’, ওমিক্রন নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর