Dev-Kanchan: গাল ভরা হাসি দুজনের,সাক্ষী হাজার-হাজার মানুষ, ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে নিঃশব্দে ‘কাউকে’ বার্তা দিলেন দেব?

Dev-Kanchan: শ্রীরামপুর কেন্দ্রে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাঞ্চন যখন গাড়িতে ওঠেন সেই সময় তৃণমূল প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, "তোমায় না বারণ করেছিলাম গ্রামের দিকে আসতে না, মহিলারা রিয়্যাক্ট করছেন" তারপরই দেখা যায় কাঞ্চন মল্লিক নেমে যান গাড়ি থেকে। একদম নিঃশব্দে।

Dev-Kanchan: গাল ভরা হাসি দুজনের,সাক্ষী হাজার-হাজার মানুষ, ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে নিঃশব্দে 'কাউকে' বার্তা দিলেন দেব?
একসঙ্গে দেব-কাঞ্চনImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2024 | 11:49 AM

কলকাতা: মনে আছে শ্রীরামপুরে ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে? বারণ করেছিলেন তাঁর প্রচারে আসতে। এবার সেই কাঞ্চনকে নিয়েই প্রচারে তৃণমূলের অপর প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সেই ছবিও। তবে কি কোনও বার্তা দিতে চাইলেন অভিনেতা? নাকি নিছকই ছবি পোস্ট করেছেন তিনি? তার উত্তর মেলেনি।

তৃতীয়বার কাঞ্চন মল্লিকের বিয়ে নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশ নেটাগরিক বিভিন্নভাবে কাঞ্চন ও তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজকে আক্রমণ করেন। দম্পতির পাশে এসেও দাঁড়ান অনেকে। তবে এই সব ট্রলকে মোটেই পাত্তা দেননি তাঁরা। কিন্তু বিতর্ক বাড়ে সম্প্রতি। শ্রীরামপুর কেন্দ্রে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাঞ্চন যখন গাড়িতে ওঠেন সেই সময় তৃণমূল প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, “তোমায় না বারণ করেছিলাম গ্রামের দিকে আসতে না, মহিলারা রিয়্যাক্ট করছেন” তারপরই দেখা যায় কাঞ্চন মল্লিক নেমে যান গাড়ি থেকে। একদম নিঃশব্দে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল আদৌ কি জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার শোভা পায়? যদিও কল্যাণের বক্তব্য ছিল, “আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। তাই সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না কোনও ব্যক্তি বিশেষের আনন্দ বা সুখের জন্য।” যদিও টিভি ৯ বাংলায় কাঞ্চন বলেছিলেন, ““আমি বুঝতে পারিনি, গিয়েছিলাম…”

এরপর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে দেব পরিষ্কার জানান, “কল্যাণ দা ওঁর মতো করে কাজ করেছেন। কিন্তু আমি চাই কাঞ্চনদা এবার আমার হয়ে প্রচার করুন। আমি ওঁকে ফোন করে আমার হয়ে প্রচারে আসার জন্য অনুরোধ করেছি।”

তারপরই গতকাল নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন দেব। যেই ছবিতে দেখা যায় হাজার-হাজার মানুষের সঙ্গে কাঞ্চন এবং দেব নিজে সেলফি তুলছেন। সঙ্গে দু’জনের গাল ভরা হাসি। ক্যাপশনে লেখা ‘এমনি’ অর্থাৎ এই ছবি থেকে স্পষ্ট দীপকের প্রচারে উপস্থিত হয়েছেন কাঞ্চন। উল্লেখ্য, দেব আর কাঞ্চনের সম্পর্ক অনেক দিনের। একাধিক ছবিতে তাঁরা সহ অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু এই ছবি পোস্টের পরই বাড়ছে জল্পনা। তাহলে কি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কোনও বার্তা দিতে চাইলেন দেব? নাকি নিঃশব্দেই বুঝিয়ে দিলেন নিজের কথা? যদিও এই নিয়ে দেব বা কাঞ্চনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে দড়ি টানাটানি, কচকচানি থাকলেও তারকা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অনেকাংশেই দেখা যায় সহকর্মীরা আলাদা-আলাদা রাজনৈতিক দল করার পরও নিজেদের সম্পর্কে চিড় ধরে না। একাধিকবার বিভিন্ন তারকা প্রার্থীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘রাজনীতি তার জায়গায়, ব্যক্তিগত সম্পর্ক অন্য জায়গায়’ যেমন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী পদ্ম শিবিরে থাকলেও দেব কিন্তু বরাবরই তাঁর প্রতি ব্যক্তিগত সৌজন্য বজায় রেখেছিলেন। সেই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষের শিকারও হতে দেখা গিয়েছিল। কুণাল বলেছিলেন,”আমরা যদি ব্যক্তিগত ইমেজ ভাল রাখার জন্য, চৈতন্যদেব সেজে বসে থাকি…. যদি এমন হয়, আমার নেত্রীকে যে যা বলছে বলুক… আমার কাছে বাবার মতো-জ্যাঠার মতো… আমি আদিখ্যেতা করে যাব আর সৌজন্য দেখিয়ে নিজের ইমেজ বানাবো… এটা হতে পারে না। মিঠুন চক্রবর্তী মমতার সরকারের বিরোধিতা করে কুৎসা করছেন। তাঁর সঙ্গে দেবরা সিনেমার নাম করে গিয়ে গলাগলি করবে, এটা হতে পারে না কখনও।” এরপর কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে দেব কী বার্তা দিলেন তা পরবর্তীতে সময়ই বলবে।