কলকাতা: “পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল ইস্যু দিয়ে ভোট হবে না। নিজেদের শক্তি বাড়াতে হবে। আপনাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হওয়ার প্রয়াস নিচ্ছে। তাই বুথ শক্তিশালী করুন।” শুক্রবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের উদ্দেশে এই বার্তাই দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান মুখ ধর্মেন্দ্র প্রধান। সম্প্রতি বিজেপির কলকাতা জ়োনের দায়িত্ব পেয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই কারণেই এদিন বৈঠকের আয়োজন করেন তিনি। বুঝিয়ে গেলেন, বাংলা নিয়ে আরও নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বললেন, আবার পুজোর পরে আসবেন তিনি। শুক্রবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত ওই বৈঠকে ছিলেন যাদবপুর, কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। এর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির কোর কমিটির সদস্যরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশের বিভিন্ন স্তরের নেতারাও ছিলেন বৈঠকে।
কিছুদিন আগেই পুরনো ও নতুনদের একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন সুনীল বনসল। এদিনের বৈঠকে সেই পুরনো নেতা ও কর্মীদের দেখা গেল। রাজ্য রাজনীতিক কারবারিদের একাংশের মতে, কলকাতা জ়োনে এখনও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি বিজেপি শিবির। সাংগঠনিক শক্তিও এই এলাকায় খুব একটা শক্তিশালী নন বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের মেরামত করা প্রয়োজন বোধ করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সেই লক্ষ্যেই সংগঠনের সংগঠনের হালহকিকত বুঝে নেওয়ার উপর জোর দিয়েছে বিজেপি শিবির। সঙ্গে কীভাবে যাদবপুর, দক্ষিণ কলকাতায় কাজ করতে হবে… তা নিয়েও এদিন বিশেষ পাঠ দেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
বৈঠকে ধর্মেন্দ্র প্রধান বার্তা দিয়েছেন, নীচুতলার দুর্নীতি খুঁজে বের করে সেই নেতাদের বিষয়কে সামনে নিয়ে আসার জন্য। উল্লেখ্য, সিপিএম নেতৃত্বও বারবার বলছে, নীচুতলার দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার জন্য। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই নজরে পঞ্চায়েত হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন লাল পতাকার ধারক বাহকরা। এমন পরিস্থিতি ধর্মেন্দ্র প্রধান বিজেপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, শুধুই পার্থ ও অনুব্রত ইস্যুর উপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকতে। পাশাপাশি বুথ কমিটি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান। বুথ কমিটি থাকা সত্ত্বেও কেন সেই কমিটির অনেক সদস্য বুথে পৌঁছাচ্ছেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।