হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট তো এখন হরিশ ব্যানার্জি হয়ে গিয়েছে, রাস্তা ফেরৎ বিতর্কে দিলীপ

সায়নী জোয়ারদার | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Dec 29, 2020 | 11:26 AM

দিলীপের কথায়, "আসলে এরা প্রশাসন চালাতে পারছে না। দলও ভেঙে যাচ্ছে। দিশেহারা হয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে লোককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয় শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়া প্রয়োজন।"

হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট তো এখন হরিশ ব্যানার্জি হয়ে গিয়েছে, রাস্তা ফেরৎ বিতর্কে দিলীপ
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: বিশ্বভারতীর কাছ থেকে পিডব্লুডির রাস্তা ফিরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এরইমধ্যে ‘রাস্তা-রাজনীতি’ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, সব কিছুকে ‘জমিদারি’ বলে মনে করছেন মমতা। তাই বিশ্বভারতীর থেকে জমি নিয়ে নিচ্ছেন। আবার হরিশ চ্য়াটার্জি স্ট্রিট ‘দখল’ হয়ে হরিশ ব্যানার্জি স্ট্রিট হয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, কাকে কী দেবেন, কার থেকে কী নেবেন তা নিজে নিজেই ঠিক করে ফেলছেন ‘উনি’। বিশ্বভারতীর থেকে রাস্তা নিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে ‘হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট পুরো দখল হয়ে গিয়েছে। এখন তা হরিশ ব্যানার্জি স্ট্রিট হয়ে গিয়েছে।’ এরপরই বিশ্বভারতীর থেকে রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে সাংসদের কটাক্ষ, “এগুলি কি এখানকার জমি বাড়ি, ওনার সম্পত্তি। কাকে দিয়ে দেবেন, কার কাছ থেকে নিয়ে নেবেন ঠিক করবেন। একটা বিশ্ব বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যার সঙ্গে পশ্চিমবাংলা এবং ভারতবর্ষের সম্মান যুক্ত, সেটা নিয়েও ছেলে খেলা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হতে চান? জীবনপঞ্জী জমা দিন ড্রপবক্সে

একই সঙ্গে এদিন অমর্ত্য় সেনের বিরুদ্ধেও কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে দিলীপের গলায়। ‘প্রতীচী’ বিতর্কে পাশে দাঁড়ানোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ অমর্ত্য সেনের ধন্যবাদ জানানো প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের তোপ, “আমি জানি না কে কার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখন রাজনীতিতে এসে গিয়েছেন। পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এটা হবে না। বোকা বানিয়ে যারা কাজ করেছেন, এক পয়সা কন্ট্রিবিউশন নেই, সে যেই হোন তাঁরা এখন ধীরে ধীরে ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন। মানুষ তাঁদের কাছ থেকে সরে যাচ্ছেন। তখন তাঁদের খুব টেনশন। তাই এইসব ইস্যু তুলে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আমি বলছি আগে আপনাদের হিসাব দিতে হবে। পশ্চিমবাংলার মানুষ আপনাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। অনেক কিছু দিয়েছেন। আপনারা কী দিয়েছেন মানুষের হিসাব চাওয়ার অধিকার আছে। সেই হিসাব দিতে পারছেন না।”

নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মমতার দল নতুন করে ইস্যু তৈরি করছে বলেই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। তাই কখনও ‘অমর্ত্য সেনকে সামনে নিয়ে আসছেন। কখনও বিশ্বভারতীর রাস্তা।’ দিলীপের কথায়, “আসলে এরা প্রশাসন চালাতে পারছে না। দলও ভেঙে যাচ্ছে। দিশেহারা হয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে লোককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার মনে হয় শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়া প্রয়োজন।”

Next Article