কলকাতা: কোথাও জ্বলল আগুন, কোথাও ছোড়া হল ইট, ছড়ানো হল কাঁদানে গ্যাস! তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দিনভর নজর কাড়ল বিজেপি। নবান্নে পৌঁছনোর আগেই যে ভাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল, তা কার্যত নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার যে ভাবে সাহস নিয়ে পথে নেমেছেন কর্মীরা, তা থেকে স্পষ্ট যে কর্মীদের মনোবল বাড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই আন্দোলন দলের অন্দরে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মোট ১২৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আহত হয়েছেন ৩৬৩ জন। তিনি আরও জানান, এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫ জন, তার মধ্যে তিনজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। শমীকের দাবি, নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় লাঠিচার্জ করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের ওপর, কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুর গ্রেফতারিকে নজিরবিহীন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, বাড়ি ঘর ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও এ দিন বিজেপি কর্মীরা সাহস করে রাস্তায় নেমেছেন। তারপরও তাঁদের মার খেতে হয়েছে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘পরিবর্তন চাই’ বলে যে ভাবে কর্মীরা এগিয়ে এসেছেন, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের মনোবল ফিরছে।
এ দিন রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সাহায্য করার অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। শমীকের দাবি, এ দিন ৮৫ শতাংশ পুলিশ রাস্তায় নামানো হয়েছিল। কার্যত দূর্গ বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কলকাতাকে। দলীয় নেতারা এ ভাবে গ্রেফতার হওয়ায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন শমীক।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও শিবপুর থানাতেই রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সব কর্মীকে ছাড়া না হলে, তিনি থানা থেকে বেরবেন না বলে জানিয়েছেন।