কলকাতা: “গায়ে কাদা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা প্রেস্টিজের ব্যাপার।”সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে নতুন দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় নাম প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, কেউ কি অভিযোগ করেছে? কোর্ট যা মনে করবে তাই করবে। এতদিন সিআইডি দিয়ে তদন্ত করাতে পারতেন। করাননি কেন? জানেন যে এইগুলো মিথ্যা।”
প্রসঙ্গত শাসকদলের ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলার পর বৃহস্পতিবার নতুন করে একটি মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া নতুন জনস্বার্থ মামলায় বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম মিলিয়ে নেতানেত্রীদের নাম রয়েছে। রয়েছে তৃণমূলের টিকিটে জেতা দুই সাংসদের নামও। এই তালিকায় নাম রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের নামও। মামলাটি দায়ের করেন সুজিত গুপ্তা নামে জনৈক এক ব্যক্তি।
মামলাকারীর দাবি, বিজেপি-কংগ্রেস নেতাদের মধ্যেও কারোর কারোর সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। কিন্তু এত সম্পত্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আয়ের উৎস কী? তালিকায় নাম রয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। তাঁদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীর।
বৃহস্পতিবার এই মর্মে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুজিত গুপ্তা। তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আদালত যা মনে করবে তাই করবে। এতদিন সিআইডি দিয়ে তদন্ত করাতে পারতেন।”