কলকাতা: “বাংলা এখন জঙ্গি, গ্যাংস্টারদের শেল্টার হয়ে গিয়েছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে এক জনের গ্রেফতারির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “পঞ্জাব থেকে নিউটাউনে থাকছেন গ্যাংস্টার, বাংলাদেশের যত জঙ্গি আল-কায়দা জেএমবি- সবাই এসে পশ্চিমবাংলায় সেন্টার নিচ্ছে। কারণ এখানকার সরকার তাদের প্রতি নরম মনোভাব দেখায়।” তাঁর সংযোজন, “৫০ কিলোমিটার বর্ডারে বিএসএফ-এর সীমান্ত সীমা বাড়ানো হয়েছে। তার উদ্দেশ্য একটাই। যারা অন্য দেশ থেকে ঢুকছে তাদেরকে যাতে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করে ধরতে পারা যায়। কিন্তু এখানকার সরকার তার বিরোধিতা করছে এখানকার সরকার চান না এখানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের আসা বন্ধ হোক।”
দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার পুরো চেষ্টা করছে সারা ভারতে বর্ডারগুলো সুরক্ষিত করতে। এখানকার রাজ্য সরকার এটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না। কারণ এর পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে আছে।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ধৃতের নাম আব্দুল মান্নান। সম্প্রতি কলকাতার হরিদেবপুর থেকে ধরা পড়ে জেএমবি-র কয়েকজন। তাদের সঙ্গে আব্দুলের যোগাযোগ ছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান। গোয়েন্দারা আব্দুলকে প্রাথমিক জেরা করে জেনেছেন দু বছর আগে সে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ঢুকেছিল। তার কাছ থেকে জাল আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।
সম্প্রতি হরিদেবপুরে জেএমবি-র কলকাতা মডিউলের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তভার এনআইএ হাতে নেয়। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই আরও এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সঙ্গে জেএমবি-র সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃত আব্দুল মান্নানকে এনআইএ বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। জেএমবি-র কলকাতা মডিউল সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চান তদন্তকারীরা।
আব্দুল মান্নান কবে থেকে এই সংগঠনে যুক্ত, তার কাজ কী ছিল, কোথায় কোথায় শাখা বিস্তার করেছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ থেকে কীভাবে ভারতে এল, কার সাহায্যে এল, এই সব জানতে আব্দুল মান্নানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চান গোয়েন্দারা।
গত ১১ জুলাই হরিদেবপুর থেকে পাকড়াও হয় জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ৩ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে জেএমবি-র সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। পরে বারাসাত থেকেও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ (STF)। অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জামাত-জঙ্গি গ্রেফতারি তদন্তভার যায় এনআইএ-এর হাতে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার অবস্থা চিনের মতো হয়ে যাবে’, উপনির্বাচনে ৪ গোল খেয়ে হারের ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ