কলকাতা: সিপিএম-কে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে বিজেপি যখন সেকেন্ড বয় হতে শুরু করেছে, রাজ্য নেতৃত্বের রাশ তখন ছিল দিলীপ ঘোষের হাতে। বাংলার রাজনীতিতে খুব পুরনো, পরিচিত মুখ না হলেও অল্প দিনেই জায়গা করে নেন প্রথম সারির রাজনীতিকদের তালিকায়। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথমবার বাংলায় ১৮টি লোকসভা আসনে জয়ী হয় বিজেপি। তাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যেতে হলেও তাঁর রাজনৈতিক সাফল্য নিয়ে কাটাছেঁড়া করে থাকেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দিলীপের তুলনাও চলে আসে অবশ্যম্ভাবীভাবেই। তবে দিলীপ যে রাজ্য সভাপতি হিসেবে সফল, সে কথা মানতে অসুবিধা নেই সুকান্তরও।
সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এসেছে একাধিকবার। বঙ্গ বিজেপি থেকে দিলীপের দূরত্বও চোখে পড়েছে অনেকের। তবে দিলীপ ঘোষের সাফল্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে আগে বিজেপি এত আসন পায়নি। তাই তিনি অবশ্যই সফল।” তাই বলে নিজের সাফল্যকে পিছনের সারিতে রাখতে চান না তিনি। সুকান্ত বলেন, “আবার একটা লোকসভা নির্বাচন হলে বোঝা যাবে।”
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বুঝিয়ে দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে বিজেপি আগের থেকে ভাল ফল করেছে, সেটা তাঁরই সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হওয়া প্রয়োজন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতে বিজেপি যত আসন পেয়েছেন, সেটাও আগে কখনও দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, দলের মধ্যে যে তাঁর সঙ্গে কারও কোনও দ্বন্দ্ব নেই, সে কথাও বলেছেন স্পষ্টভাবে। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, নাকি রাহুল সিনহা, কাকে বেশি ভরসা করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত স্পষ্ট বলেন, “এমন কেউ নেই যাঁকে আমি ভরসা করি না। সবাইকে ভরসা করি।”