কলকাতা: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী একটি চিঠি দেওয়ার পর এই বিতর্কে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারাও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একদিকে অমর্ত্য বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। যার পাল্টা দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মাঠে নেমেছেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। অন্যদিকে শহরের বুদ্ধিজীবী মহল অমর্ত্য সেনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
এদিন অমর্ত্য সেনের নোবেল পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সাত সকালে নিউটাউনে মর্নিং ওয়াক করতে এসেই অমর্ত্য সেনকে নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘উনি কী বলবেন উনি ঠিক করবেন। ওনার কাছ থেকে আমরা কিছু আশা করি না। আমরা ওনাকে সম্মান দিই। উনি সম্মানীয় মানুষ। উনি একটা গোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে যেন না থাকেন। সারা ভারত তাঁর জন্য গর্ব করে। সেই স্তরে ওনার কথা বলা উচিত। কোনও পার্টি বা কোনো বিশেষ বিচার ধারায় যদি উনি কথা বলেন। তাহলে আমরা ভাবব, ভুল লোককে কি দেওয়া হল পুরস্কার?’
আরও পড়ুন: এনডিএ-তে ফের ভাঙন, সৌজন্যে কৃষক আন্দোলন
বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা আক্রমণ করে এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পার্থ বলেন, ‘উনি কে? ওনার যোগ্যতা, বিদ্যাবুদ্ধি কী আছে? উনি অমর্ত্য সেন নিয়ে আলোচনা করছেন! তার জন্য তো একটা জায়গায় পৌঁছতে হয়। যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে আরম্ভ করেছেন। এরা কী চাইছে কে জানে। এক শ্রেণীর উন্মাদের রাজনীতিতে জন্মলাভ হয়েছে।’
গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল অমর্ত্যর শান্তিনিকেতনের বাড়িকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি তাঁর বাড়ি প্রতীচী ও তাঁর মেয়েকে নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যা সমালোচিত হয়। এরপরই গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী। অন্যদিকে, অমর্ত্য সেনকে বিজেপি অপমান করছে, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানাতে রবিবার পথে নামছেন বুদ্ধিজীবীরা।
আরও পড়ুন: ‘বিস্ফোরক ২১ পাতার চিঠি’ দিলেন সুদীপ্ত সেন, সারদাকাণ্ডে নয়া মোড়?