কলকাতা : রাজ্য কমিটির দ্রুত বদলের পক্ষে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটি বদলে এত দেরি হচ্ছে কেন? দলের অন্দরে এমন প্রশ্নও তুলছেন তিনি। তাঁর মতে, পরিস্থিতি এখন বদল হয়ে গিয়েছে। বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। তাই নিজের গতিতে চলবে এই দল। কেন দেরি হচ্ছে রাজ্য কমিটি গঠনে, তা নিয়ে প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ এই মত জানান। এই বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
দিলীপ ঘোষের মতে, দ্রুত রাজ্য কমিটিতে পরিবর্তন আনা দরকার। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে যে আন্দোলন বিমুখতা দেখা যাচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে দলে। দলের নিচু তলার কর্মীরা ভেঙে পড়ছেন। তার উপর দলের এক এক জন নেতা, এক এক রকমের কথা বলছেন। এর ফলে আদতে দলেও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সেই সব প্রসঙ্গে আজ দিলীপ ঘোষ জানান, জে পি নাড্ডাকে তিনি আগেই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। এখনও তিনি চাইছেন যাতে দ্রুত রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, বঙ্গ প্রাক নির্বাচনী সময়ে একটি কথা খুব শোনা যাচ্ছিল বঙ্গ বিজেপির নেতাদের একাংশের মধ্যে। বলা হচ্ছিল, দিলীপ ঘোষকে না সরানো হলে, বিজেপির সাফল্য আসবে না বলেও মনে করছিলেন নেতাদের অনেকে। তাঁদের প্রসঙ্গেও আজ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন দিলীপ বাবু, নির্বাচনের সময় যাঁরা তাঁকে সরাতে চেয়েছিলেন , তাঁরা এখন কোথায়? বললেন, “আর তো দেখা যায় না তাঁদের রাজ্যে। কেউ কেউ আবার দল বদল করেছে পালিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ এখনও আছে দলে। তবে বিজেপির অফিসে দেখা মেলে না।” এই প্রশ্নও জে পি নাড্ডার কাছে তিনি তুলেছেন বলে খবর।
পূর্বে বাবুল সুপ্রিয় বা মুকুল রায়ের মতো প্রথম সারির নেতারা, যাঁরা এক কালে বিজেপিতে ছিলেন, তাঁরাই নাকি সেই সময় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির মুখে সরাসরি কোনও নেতার নাম না উঠে এলেও, যাঁদের উদ্দেশে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন, সেই তালিকায় অবশ্যই বাবুল সুপ্রিয় এবং মুকুল রায়ের মতো নেতারা থাকবেন।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এখন তাঁর কাধে জাতীয় স্তরের দায়িত্ব। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। কিন্তু এখনও বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। একাধিক বার তিনি নিজেও এই কথা বলেছেন। আজ আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেও, বঙ্গ শিবিরের ‘অভিভাবক’ তিনিই।