Ultadanga: কল খুলতেই বেরিয়ে আসছে লাল জল! শহরে ‘জলাতঙ্ক’…

KMC: উল্টোডাঙার করবাগানের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার কল খুলতেই নজরে আসে একেবারে সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল।

Ultadanga: কল খুলতেই বেরিয়ে আসছে লাল জল! শহরে 'জলাতঙ্ক'...
মহানগরে 'জলাতঙ্ক'। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2021 | 10:35 PM

কলকাতা: মহানগরে ‘জলাতঙ্ক’! না কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ নয়। তবে এটা জল নিয়ে আতঙ্ক। কোথাও লাল জল, কোথাও আবার ঘোলাটে। জলের কল খুলতেই আঁতকে উঠল মহানগর (kolkata)। উল্টোডাঙা (Ultadanga)-সহ উত্তর কলকাতা ও উত্তর পূর্ব কলকাতার একটা বড় এলাকাজুড়ে জলের রং বদলে ছড়াল আতঙ্ক।

উল্টোডাঙার করবাগানের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার কল খুলতেই নজরে আসে একেবারে সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল। বিকেলের দিকে তা কিছুটা বদলালেও পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়। কিন্তু কেন এই রং বদল জলের।

বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তিন নম্বর বরোর কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য রাউত বলেন, “গত ২৫ বছরে এরকম ঘটনা ঘটেনি। এই যে ডিভিসি জল ছাড়ল, সমস্ত জায়গাতেই জলের এই অবস্থা। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এমনটাই বলছেন। জলের কোনও দূষণ এটা নয়। ডিভিসি যে জলটা ছেড়েছে পলতায় গঙ্গার মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাবেই ওয়াটার রিজারভারের মধ্যে চলে এসেছে। সেটাকে ঠিক করতে একটু সময় দিতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার যারা আছে, আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষকেও আশ্বস্ত করেছি, জলটা কিছুক্ষণ রেখে ঘোলা ভাবটা থিতিয়ে নিচে চলে গেলে তারপর ফুটিয়ে ব্যবহার করুন।”

যদিও শুধু উত্তর কলকাতা বা উল্টোডাঙায় এই সমস্যা নয়। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “এই ড্যামগুলো থেকে জল ছাড়ার কারণে জলের কোয়ালিটিটা একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছে। খুব কাদা, ঘোলা জল আসছে। নদী থেকে যে পরিমাণ জল আমরা তুলি তা তুলতে পারছি না। সে কারণে জল আমরা দু’ চারদিন কমিয়ে দিচ্ছি, যতদিন না এই পরিস্থিতি ঠিক হয়। এরকম এর আগে কোনওদিনও হয়নি। এই জলের জন্য কেএমডিএর-ও কয়েকটা প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে। এত কাদা। কতগুলো জায়গায় খুব অল্প জল, একেবারে উপরিভাগ থেকে নিচ্ছি। ক’দিন জলের প্রেশার কম কলকাতায় থাকবে।”

কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। দু’টি প্রশ্ন মূলত তুলেছেন সমস্যাভোগীদের একাংশ। এক, পলতা জলপ্রকল্পে কী ভাবে ডিভিসির জল এসে মিশছে? দ্বিতীয়ত, কেনই বা সেটা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না? পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, ডিভিসি জল ছাড়ায় নদীর জলস্তর বেড়েছে। পলতার দিক থেকে গঙ্গায় সেই জল মিশছে বলেই দাবি করা হয়েছে। সেই জল মেশার কারণেই পলতা জলপ্রকল্পে সেই জল ঢুকছে। পরে তা আসছে টালাতে। এরপর সেখান থেকে উত্তর কলকাতা, উত্তর পূর্ব কলকাতার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ক্লোরিন দেওয়া-সহ যা কিছু শোধনের প্রক্রিয়া সবটা করেই জল দিচ্ছে পুরসভা। কিন্তু তারপরও সেই ঘোলাটে ভাব থেকেই যাচ্ছে।

যদিও হিসাব মতো ডিভিসির জল একদিকে যেমন দামোদর হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই মুণ্ডেশ্বরী হয়ে রূপনারায়ণে মিশছে। তা হলে পলতায় সেই জল কী ভাবে আসছে? এ বিষয়ে অনিন্দ্য রাউতের বক্তব্য, “গঙ্গার সঙ্গে সমস্ত নদীর যোগ রয়েছে। সে খালের মধ্যে দিয়ে হোক বা যে পথেই হোক। এই জল গত ২৫ বছরে এরকম হয়নি। এবার ওরা এত জল ছে়ড়েছে যে এই দুর্ভোগ রাজ্যবাসীর।”

আরও পড়ুন: Bhabanipur Bypoll Results 2021: বিপুল ভোটে জয় পেয়েও কুণাল-অনুব্রতদের ‘ভাষা-সন্ত্রাস’!