Dengue: শহরে বাড়ছে ডেঙ্গুর দাপট, সাতদিনে কলকাতাতেই আক্রান্ত ৭৬
Bengal: ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কলকাতা: একে করোনায় (Covid-19) রক্ষা নেই। দোসর হয়েছে ডেঙ্গু (Dengue)। বৃষ্টি মানেই জায়গায় জায়গায় জমা জল। আর সেই জমা জলে দেদার মৌরসিপাট্টা চলছে ‘এডিস’কুলের। যত বেশি বৃষ্টি, ততই বেশি চিন্তা। ক্রমেই মশাবাহিত রোগ বাড়ছে রাজ্যে। কলকাতাতেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতায় সাতদিনে ৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গুর বিপদজনক দুই সেরোটাইপ ডেন ২ (DEN-2), ডেন ৩ (DEN-3) ধরা পড়েছে এই রাজ্যে।
গত কয়েকদিনে বৃষ্টি হয়েছে প্রবল। বাড়ির আনাচে কানাচে, পথেঘাটে জল জমেছে। এই জমা জল মানেই মশার পৌষমাস। সর্বনাশ সাধারণ মানুষের। শহরে কী হারে ডেঙ্গু বাড়ছে তার একটা পরিসংখ্যানও মিলেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৯২ জন।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। মালদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ জন। হাওড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২। চিকিৎসকরা বলছেন, এ বছর ভালই বাড়বাড়ন্ত হয়েছে ডেঙ্গুর। কোভিডের যেরকম সংক্রমণের খবর আসছে, ডেঙ্গুও সেই লড়াইয়ে খুব পিছিয়ে নেই। যদিও ডেঙ্গুর নমুনা তুলনামূলক ভাবে কম আসছে, বলছেন চিকিৎসকরা।
গত বছর করোনারা প্রকোপের মাঝে ডেঙ্গি জ্বর খুব বেশি ছড়ায়নি। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, গত বার এত বেশি বৃষ্টিও হয়নি। ডেঙ্গি মশাবাহিত রোগ হওয়ার কারণে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্ম নেয় সবথেকে বেশি। ঠিক যে কারণে ডেঙ্গি থেকে বাঁচার জন্য জল যাতে কোথাও না জমে সে দিকে নজর দিতে বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই জল জমে একাকার পরিস্থিতি। আগামী কদিন যাবতও এই অবস্থা বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছে আবহওয়া দফতর। ফলে করোনা নিয়ে খানিক স্বস্তি এলেও ডেঙ্গি যে রাজ্য সরকারের পরবর্তী মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে বিপদজনক ডেন ২ ও ডেন ৩। এ রাজ্যে এই দুই সেরোটাইপেরই বাড় বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে ডেন ২ সব থেকে মারাত্মক। এর পিছনেই রয়েছে ডেন ৩। মাইক্রো বায়োলজিস্ট ভাস্করনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “ডেন ২ ডেন ৩ মারাত্মক। অথচ এবারও শোনা যাচ্ছে এই দু’টো এ রাজ্যে ভালই পাওয়া যাচ্ছে। ডেন ৩ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।”
সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ছয় থেকে সাতদিনের মধ্যে সেরে যায়। হেমারেজিক ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। ডেন ২ বা ডেন ৩ ঘটাতে পারে ডেঙ্গু হেমারেজ। এর ফলে শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। ভাস্করনারায়ণ চৌধুরীর কথায়, “ডেন ২ শক সিনড্রোম করে বেশি। এতে রোগীর সিভিয়ার ইনফেকশন মানে প্লেটলেট অনেক বেশি নেমে যায়। বডি ইমিউন রেসপন্স অনেক বেশি হতে পারে। ডেন ৩-তেও এমনটা হতে পারে।”
আরও পড়ুন: Ultadanga: কল খুলতেই বেরিয়ে আসছে লাল জল! শহরে ‘জলাতঙ্ক’…