ED: ED-র উদ্ধার করা কোটি-কোটি টাকা কোথায় যায় জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 11, 2022 | 12:31 PM

Enforcement Directorate: শুধু টাকা নয়, কেজি-কেজি সোনাও মিলেছে। তবে প্রশ্ন জাগতেই পারে উদ্ধার হওয়া এই টাকাগুলি যায় কোথায়? কী করেন টাকাগুলি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা?

Follow Us

কলকাতা: অর্পিতা থেকে আমির, বাড়ি ও ফ্ল্যাট থেকে গত কয়েকমাসে বারবার টাকা পাহাড়ের ছবি দেখছে রাজ্যবাসী। কখনও অর্পিতার ফ্ল্যাট। কখনও গার্ডেনরিচে আমির খানের বাড়ি থেকে তাড়া তাড়া নোট উদ্ধার করেছে ইডি। সব মিলিয়ে প্রায় গত কয়েকমাসে রাজ্যে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু টাকা নয়, কেজি-কেজি সোনাও মিলেছে। তবে প্রশ্ন জাগতেই পারে উদ্ধার হওয়া এই টাকাগুলি যায় কোথায়? কী করেন টাকাগুলি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা?

কীভাবে কাজ করে ইডি?

নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি ও নথির একটি সিজার লিস্ট তৈরি করে ইডি। এরপর কোন নোটে কত টাকা, কতগুলি বান্ডিল, তা নথিভুক্ত হয়। পাশাপাশি এও দেখা হয় নোটে কোনও চিহ্ন ছিল কি না। থাকুক বা তাও নথিভুক্ত করা হয়। এরপর ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেও উদ্ধার হওয়া টাকা জমা রাখা হয়।
পরে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। আর এই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইডি-র এসপি (SP) পদমর্যাদা অফিসারের নামে হয়। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের টাকা বাজারে খাটাতে পারে ব্যাঙ্ক।মোড়া বা খামবন্দি অবস্থায় টাকা পাওয়া গেলে মালখানায় রাখা হয়। এরপর কত টাকা কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তা আদালতকে জানাতে হয়।বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রমাণ হিসেবে অন্যান্য নথির সঙ্গে মালখানায় রাখা হয় খামবন্দি টাকা।

আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার কোনও নথি থাকলে তা ইডি নিজের হেফাজতে রাখে। PML আইনের ধারা অনুযায়ী সম্পত্তি অ্যাটাচ করার অধিকার রয়েছে ED-র। কিন্তু, ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রমাণ করতে হয় সেই সম্পত্তি অবৈধ। বাজেয়াপ্ত টাকা অবৈধ প্রমাণ না হলে সুদসহ ফেরত দিতে হয়। টাকা অবৈধ প্রমাণ হলে তা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে।

তথ্য বলছে, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত ৬ বছরে ২হাজার ৬০০টি অভিযান চালিয়েছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৬০ জনকে। গত ৪ বছরে অভিযান চালিয়ে ৬৭ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সবথেকে বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে ২০১৯-২০ সালে। এই অর্থবর্ষে উদ্ধার হয় ২৮ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। কিছু বাণিজ্যিক সম্পত্তিও ED তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে অ্যাটাচ করতে পারে।

কলকাতা: অর্পিতা থেকে আমির, বাড়ি ও ফ্ল্যাট থেকে গত কয়েকমাসে বারবার টাকা পাহাড়ের ছবি দেখছে রাজ্যবাসী। কখনও অর্পিতার ফ্ল্যাট। কখনও গার্ডেনরিচে আমির খানের বাড়ি থেকে তাড়া তাড়া নোট উদ্ধার করেছে ইডি। সব মিলিয়ে প্রায় গত কয়েকমাসে রাজ্যে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু টাকা নয়, কেজি-কেজি সোনাও মিলেছে। তবে প্রশ্ন জাগতেই পারে উদ্ধার হওয়া এই টাকাগুলি যায় কোথায়? কী করেন টাকাগুলি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা?

কীভাবে কাজ করে ইডি?

নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি ও নথির একটি সিজার লিস্ট তৈরি করে ইডি। এরপর কোন নোটে কত টাকা, কতগুলি বান্ডিল, তা নথিভুক্ত হয়। পাশাপাশি এও দেখা হয় নোটে কোনও চিহ্ন ছিল কি না। থাকুক বা তাও নথিভুক্ত করা হয়। এরপর ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেও উদ্ধার হওয়া টাকা জমা রাখা হয়।
পরে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। আর এই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইডি-র এসপি (SP) পদমর্যাদা অফিসারের নামে হয়। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের টাকা বাজারে খাটাতে পারে ব্যাঙ্ক।মোড়া বা খামবন্দি অবস্থায় টাকা পাওয়া গেলে মালখানায় রাখা হয়। এরপর কত টাকা কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তা আদালতকে জানাতে হয়।বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রমাণ হিসেবে অন্যান্য নথির সঙ্গে মালখানায় রাখা হয় খামবন্দি টাকা।

আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার কোনও নথি থাকলে তা ইডি নিজের হেফাজতে রাখে। PML আইনের ধারা অনুযায়ী সম্পত্তি অ্যাটাচ করার অধিকার রয়েছে ED-র। কিন্তু, ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রমাণ করতে হয় সেই সম্পত্তি অবৈধ। বাজেয়াপ্ত টাকা অবৈধ প্রমাণ না হলে সুদসহ ফেরত দিতে হয়। টাকা অবৈধ প্রমাণ হলে তা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে।

তথ্য বলছে, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত ৬ বছরে ২হাজার ৬০০টি অভিযান চালিয়েছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৬০ জনকে। গত ৪ বছরে অভিযান চালিয়ে ৬৭ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সবথেকে বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে ২০১৯-২০ সালে। এই অর্থবর্ষে উদ্ধার হয় ২৮ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। কিছু বাণিজ্যিক সম্পত্তিও ED তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে অ্যাটাচ করতে পারে।

Next Article