কলকাতা: ‘সিবিআই-এর এ কী হাল ধর্ষকদের করে আড়াল!’ সিজিও-র সামনে চিৎকার করে বললেন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী-নার্সরা। তাঁদের হাতে রয়েছে প্রতীকী তালা। সিজিওর গেট বন্ধ করতে এসেছেন। কেন? কারণ, কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএল টিমের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর যে তথ্য সামনে এসেছে, তারপরও সিবিআই কোর্টে তা জানাল না কেন? বস্তুত, সোমবার সিএফএসএল-এর রিপোর্ট হাতে আসে টিভি ৯ বাংলার হাতে। সেখানে সিবিআইকে তারা যে তথ্য জানিয়েছে তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, সেমিনার রুমে কি তাহলে তিলোত্তমার সঙ্গে কিছুই ঘটেনি? এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ফের সরগরম বাংলা। সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই-এর দফতর ঘেরাও অভিযানের ডাক মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর ফোরাম এবং নার্সেস ইউনিটির। প্রতীকী তালা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সিএফএসএল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারা ইঙ্গিত দিচ্ছে ঘটনার অকুস্থল কোনও স্থানে হতে পারে। এমনকী, ওই সেমিনার রুমে চুপিসারে গিয়ে অপরাধ ঘটানো সম্ভব নয়। এরপরও কেন সিবিআই-এর মূল চার্জশিটে তদন্তের এই বিষয়গুলি সামনে এল না? আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই বিষয়গুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
বিক্ষোভকারী এক ডাক্তারি ছাত্র বলেন, “ধর্ষকদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল কলকাতা পুলিশ। এখন সিবিআই। সিএফএসএল রিপোর্ট এসেছে ১১ই সেপ্টেম্বর। সেখানে বলা হচ্ছে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। তারপরও ৯০ কাটলেও সিবিআই চার্জশিট দিতে পারল না। এর ফলে সন্দীপরা রাস্তায় ঘুরছে। কালকে যদি আরও একটা এই ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে? কাকে আড়াল করছে?” আরও এক স্বাস্থ্য কর্মী বলেন, “সিজিও-তে তালা দিতে এসেছি। ওরা তো কোনও কাজ করছে না। কাজের নামে প্রহসন করছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করছে।”