কলকাতা: অনশন মঞ্চে যাবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব? সোমবারের বৈঠকে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের অনশনমঞ্চে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। প্রশ্ন হল, সেই আবেদনে কি সাড়া দেবে নবান্ন? সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে তেমন আশ্বাস না মিললেও আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখতে সেই পদক্ষেপ যে জরুরি, তা প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের বুঝিয়েছেন ডাক্তাররা। এদিনের বৈঠকে যোগ দেওয়া ছয় চিকিৎসক সংগঠনের ১৮ জন প্রতিনিধি। সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে জট কাটানোর সমাধান সূত্র বলতে প্রশাসনের প্রাপ্তি এই অনুরোধটুকুই।
চিকিৎসক সংগঠনের প্রাপ্তি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের কাছে গত সাড়ে তিন বছরে স্বাস্থ্যে কী চলেছে তা নথিবদ্ধ করানো। জানিয়ে দেওয়া, স্বাস্থ্যের অচলাবস্থার দায় এড়াতে পারেন না স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেই সূত্রেই এদিন স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে উঠে এসেছে স্বাস্থ্য সচিবের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ।
আসলে অচলাবস্থার দায় যে প্রশাসনের সেটাই নিজেদের বক্তব্যে তুলে ধরেছেন চিকিৎসক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা। আইএমএ বেঙ্গলের তরফে চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, গণ ইস্তফার বৈধতা নেই। তাঁর বক্তব্য, একটা প্রো-ফর্মা বানিয়ে দেওয়া হোক, ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দিতেও তাঁরা প্রস্তুত।
প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র্স-এর তরফে অধীশ বসু প্রশ্ন তুলেছেন, ত্রিধারা সম্মিলনীতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হল কেন? এএইচএসডি-র তরফে উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন, স্বাস্থ্য ভবনের তত্ত্বাবধানে থ্রেট কালচার বেড়ে উঠেছে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ মেটাতে গ্রিভান্স সেল গঠন করেছিল রাজ্য। সেই গ্রিভান্স সেলের প্রধানই বলছেন, প্রশাসনের উপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। বস্তুত, এই মেজাজেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে চিকিৎসকদের হুঙ্কার, প্রশাসন পুজো কার্নিভালের দিন দ্রোহ কার্নিভালের অনুমতি না দিলেও তাঁরা দ্রোহের পথেই থাকছেন।