কলকাতা: কিছুটা স্থিতিশীল, তবে এখনও বিপন্মুক্ত নন অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য। এনআরএসে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর দেহে সোডিয়াম-পটাসিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছে। পাশাপাশি রক্তচাপও কম ছিল পুলস্ত্যর। পীঠে অসম্ভব ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব ছিল তাঁর। সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় ছিল, পুলস্ত্যর ইউরিন হচ্ছিল না। আর সেটা নিয়েই সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকরা। এখন ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক। ইউএসজি, ইকো, ইএসজি হয়েছে। সকালে আরও বেশি কিছু রক্ত পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই নিয়ে টানা দশ দিনে পড়ল জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন। দুদিন আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়রা। অনিকেতের শারীরিক সমস্যার সঙ্গে পুলস্ত্যর শারীরিক সমস্যার কিছুটা মিল পেয়েছেন চিকিৎসকরা। দুজনেরই দেহে কিডোন বডির মাত্রা বেড়ে ৩+ হয়েছিল। তাতে কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এই বিষয়টিই চিন্তায় ফেলে চিকিৎসকদের। অনিকেত অবশ্য এখন আপাতত অনেকটাই সুস্থ। পুলস্ত্যকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
পুলস্ত্য চিকিৎসায় আপাতত পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এখনও তাঁরা স্যালাইন চলছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলনের সমর্থনে সোমবার শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালও ওপিডি পরিষেবা বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।