Humayun Kabir: ‘রাজনীতির অ আ ক খ জানে না’, কাশেমের তুলোধনা করে ‘রেজাল্টের’ অপেক্ষা হুমায়ুনের
Humayun Kabir: তৃণমূল সূত্রে খবর প্রকাশ্যে নয়, দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন কাশেম। আর তার কিছু সময়ের মধ্যেই পদপ্রাপ্তি। এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের ইতিহাসে শেষ কবে ঘটেছে তা মনে করতে পারছেন রাজনীতির কারবারিরাও।

কলকাতা: “নওশাদ সিদ্দিকী গ্রেফতার হওয়ার পর কাশেম সিদ্দিকী লালবাজারের সামনে কী বলেছিলেন, সবাই জানেন। নওশাদ সিদ্দিকীর জ্ঞাতি ভাই কাশেম সিদ্দিকী। কিন্তু, রাজনীতিতে কখন কী হয়, কেউ বলতে পারেন না।” কিছুদিন আগেই কাশেম নিয়ে বলতে গিয়ে এ কথা বলেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই কাশেমকে এখন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে এনে বড় চমক দিয়েছে তৃণমূল। তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। এবার কাশেমেরই তুলোধনা হুমায়ুনের। চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “কাশেম সিদ্দিকী রাজনীতির অ আ ক খ জানেন না। ওনাকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।”
তৃণমূল সূত্রে খবর প্রকাশ্যে নয়, দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন কাশেম। আর তার কিছু সময়ের মধ্যেই পদপ্রাপ্তি। এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের ইতিহাসে শেষ কবে ঘটেছে তা মনে করতে পারছেন রাজনীতির কারবারিরাও। এই কাশেমরই এদিন ফের একবার ইতিহাস মনে করালেন হুমায়ুন। খানিক খোঁচা দিয়ে আবার দলীয় নেতৃত্বের কোর্টে বল ঠেলে বললেন, “ভাঙড়ের বিধায়ক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে একটা বিশৃঙ্খলায় গ্রেফতায় হয়েছিলেন। সেই সময় লালবাজারের সামনে এই কাশেম সিদ্দিকী তৃণমূল ও তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন। অনেক বাজে বাজে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু, তাঁকে নিয়ে পরিকল্পনার জায়গায় তো আমি নেই। সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মনে করেছে তাই তাঁকে দলে জায়গা দিয়েছে। ভবিষ্যৎ কথা বলবে এটা ঠিক ছিল না ভুল ছিল। ভোটে বোঝা যাবে তাঁকে নিয়ে কতটা কাজ হয়েছে।”
বারবার তুলনা নওশাদের সঙ্গে
কাশেম তৃণমূলে আসতেই বারবার তুলনা চলে আসছে নওশাদের সঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মত, নওশাদের হাতে যাতে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে কোপ না পড়ে সে কারণেই এখন কাশেমই দলের তরুপের তাস। সে কারণেই অনেকটাই সাইড লাইনে চলে গিয়েছেন ত্বহা সিদ্দিকী। তা নিয়ে চাপানউতোরও কম হচ্ছে না। যদিও হুমায়ুন বলছেন, নওশাদের তবু কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। কাশমের সেটাও নেই। তিনি বলছেন, “নওশাদের চার বছরের রাজনীতি হয়ে গিয়েছে। কাশেমকে তো রাজনীতি সেই অর্থে করতে দেখেনি। কিন্তু আমাদের সরকারের সমালোচনা করেছে, বিরোধিতা করেছে। এখন সে যোগ্যতার প্রমাণ দিক। তাঁকে দেখে কত মানুষ ভোট দিচ্ছে দেখা যাক। রেজাল্টের পরেই সবটা বোঝা যাবে। তখনই তাঁকে সার্টিফিকেট দেব।”
ফুরফুরার হওয়া যে মোটেও ফুরফুরে নয় তা টের পাওয়া গিয়েছিল বেশ কিছু মাস আগেই। যেভাবে ত্বহা-কাশেম কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে রাজনীতির পাড়াতেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। হুমায়ুন যদিও বলছেন, বাংলার মুসলমান তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। কিন্তু, ফুরফুরার পীরদের হাওড়া হুগলি চব্বিশ পরগনার বাইরে প্রভাব নেই। তাঁক কথায়, “হাওড়া-হুগলি, দুই ২৪ পরগনার মুসলিমদের মধ্যে পীরজাদাদের প্রভাব রয়েছে। বাকি মালদহ, উত্তর দিনাজপুর তো মুসলিমদের শক্ত জায়গা। সবথেকে বেশি মুসলিম থাকে মুর্শিদাবাদে। এই জেলাগুলি তো বটেই বর্ধমান, নদিয়ার কিছু অংশেও পীরের ভক্ত কম আছে। পীরদের দেখে তাঁরা রাজনীতি করে না। পীরদের দেখে তাঁরা ভোটের বাক্সে ভোটও দেয় না।”





