কলকাতা: আগেই কামদুনিকাণ্ডে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। এদিন অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা রদ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে সকাল থেকেই রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র চাপানউতোর। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া শাড়ি ফেরাতে দেখা গেল বিজেপির মহিলা বিধায়কদের। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, প্রতি পুজোতেই বিধানসভার মহিলা কর্মীদের এবং শাসক-বিরোধী মিলিয়ে সমস্ত মহিলা বিধায়কদের শাড়ি উপহার দেন মমতা। এবারও সেই একই ছবি দেখা যায়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপির অফিসে ফিরহাদ গিয়ে বলেন, মমতা শাড়ি পাঠিয়েছেন উপহার হিসাবে। শাড়িগুলি দিয়েও আসেন। এদিকে বিজেপির হাতে রয়েছে সাত মহিলা বিধায়ক। আসা মাত্রই রং পছন্দ করে মমতার শাড়ি নিয়েও নেন কেউ কেউ। একইসঙ্গে তৃণমূলের মহিলা বিধায়কদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় মমতার উপহার। ঘটনাচক্রে এর কিছু সময় পরেই আসেই কামদুনি কাণ্ডের রায়। এরপরই আচমকা বিজেপি মমতার দেওয়া উপহার ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। ঘড়িতে তখন দুপুর ২টো। তখনই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন অগ্নিমিত্রা পালেরা। টানেন কামদুনি প্রসঙ্গ।
সাফ বলেন, “রাজ্যে নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায় যে সরকার ব্যর্থ, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দেওয়া শাড়ি আমরা সমম্মানে ফিরিয়ে দিচ্ছি। মমতা সেই সময় বলেছিলেন দৃষ্টান্তমূল শাস্তি হবে। এখন কী হল সবাই দেখল। গোটা ঘটনার দায় মমতার।”
খানিক একই সুর আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গলাতেও। বলেন, “এ রাজ্যে মহিলাদের বিবস্ত্র করা হয়। শাড়ি তো লজ্জা নিবারণের জন্য ব্যবহার করা হয়। সেই লজ্জাই যখন নিবারণ করা যাচ্ছে না তখন বিজেপি বিধায়কদের শাড়ি দিয়ে কী বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? সেই সময় তৃণমূলের লোকজনরা অভিযুক্তদের সপক্ষে মিছিল করেছিল। তার ছাপ বিচারব্যবস্থায় পড়ল না তো? পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এমনটা হল না তো?”