কলকাতা: বাংলাদেশে পাচার হওয়ার আগে এসটিএফ এবং রাজারহাট থানার যৌথ হানায় একটি লারি ও একটি ৪০৭ গাড়ি ভর্তি ফেনসিডিল ও মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজারহাট থানার খড়িবেড়িয়া এলাকায় এসটিএফ এবং রাজারহাট থানার পুলিশ সমস্ত গাড়ি চেকিং করতে থাকে। সেই সময় একটি লরি ও একটি ৪০৭ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৯৯০০ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে।
গাড়ি দুটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ৪০৭ গাড়ির চালক ফিরোজ গাজিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত গাড়ি চালকের বাড়ি বাদুড়িয়ায়। বাকিরা পালিয়ে যায়। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিধাননগর গোয়েন্দা শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ সোর্স অফ ইনফর্মেশনের ভিত্তিতে রাজারহাট থানায় রাজবাটি ঘাটে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুরাজ আলিকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে তিনটে ওয়ান শার্টার দেশি বন্দুক ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এর আগেও ২০১৮ সালে সুরাজ আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
রাইগাছি খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রেহানের সহযোগী সুরাজ। ২০০৮ সালে রাইগাছিতে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ব্যবসায়ীক শত্রুতার জেরেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনায় আগেই রেহান নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেহান এই খুনের অন্যতম চক্রী ছিল। তার সহযোগী ছিল সুরাজ। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।