Duare Ration: মঙ্গলেই ‘মঙ্গল যাত্রা’ দুয়ারে রেশনের, উদ্বোধনে থাকছে চমক, সাজছে নেতাজি ইনডোর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 15, 2021 | 9:11 PM

Duare Ration: এবার থেকে ১০০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন।

Follow Us

কলকাতা: মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প। এবার থেকে ১০০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। বৃহৎ এই কর্মকাণ্ড শুরুর আগের দিনই এ কথা জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

একুশের ভোটে তৃণমূলের দলীয় ইসতাহারে উল্লেখ ছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুও হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ডিলারদের একাংশের বেঁকে বসা, দুয়ারে রেশন দিতে আপত্তি জানিয়ে তাঁদের আদালতে ছোটা, আদালতের কাছ থেকে খালি হাতে ফেরা! বহু চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি এই দুয়ারে রেশন। মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীই উদ্বোধন করবেন এই প্রকল্পের। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আমাদের ১০০ শতাংশ বাড়ির ঠিকানায় দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে এই প্রকল্পের সূচনা হবে।”

সোমবার তার সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান রথীন ঘোষ। তিনি জানান এই পরিষেবার বিস্তারিত জানতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই তা সকলে জানতে পারবেন। যা কিছু বিস্তারিত জানার সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর খুলে চ্যাট উইনডোতে ‘হাই’ লিখলেই জানা যাবে।

খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে সংলগ্ন একাধিক জেলায় রেশন সামগ্রী নিয়ে গাড়ি রওনা দেবে। গ্রাহকের হাতে রেশন তুলে দেওয়া হবে। রাজ্যের ১০ কোটি গ্রাহককে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে খাদ্য দফতর। করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রায় ২১ হাজার রেশন ডিলার রয়েছেন এ রাজ্যে। মাসে একবার গিয়ে বাড়িতে রেশন দেওয়া হবে। যারা বাড়িতে রেশন নিতে চান না, চাইলে রেশন দোকানে গিয়েও রেশন নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে রাজ্য জুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে খাদ্য দফতর। কিন্তু এরই মধ্যে রেশন ডিলাররা মামলা করে আদালতে। রেশন ডিলারদের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের উপর চাপ বাড়ছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তাঁরা।

কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, “প্রয়োজনীয়তাই হল উদ্ভাবনের মূল কারণ। একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই বেঁচে থাকার নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ বাধ্য হয়েছে ঘরবন্দি থাকতে। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নতুন উপায় আবিষ্কার করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এবিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সরকারি বা আধা-সরকারি সংস্থাগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।”

একই সঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বক্তব্য ছিল, চিকিৎসা, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা-সহ সব পরিষেবাই এখন একটি বোতাম টিপেই পাওয়া যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসও গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের ধারণাও পাল্টাতে শুরু করেছে। মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করছেন। অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়েছে নগরজীবন। ভিড়ের মধ্যে দোকানে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চাইছেন মানুষ। এরকম একটা পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুয়ারে রেশনের নামে মানুষের দোরগোড়ায় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ আইন ভাঙার সমান হতে পারে বলে মনে করছেন না তিনি।

আরও পড়ুন: Forward Bloc: পুরভোটে কংগ্রেসের হাত ধরবে না, দরকার নেই আইএসএফকেও! বৈঠকে জানিয়ে দিল ফরওয়ার্ড ব্লক

কলকাতা: মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন (Duare Ration) প্রকল্প। এবার থেকে ১০০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। বৃহৎ এই কর্মকাণ্ড শুরুর আগের দিনই এ কথা জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

একুশের ভোটে তৃণমূলের দলীয় ইসতাহারে উল্লেখ ছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুও হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ডিলারদের একাংশের বেঁকে বসা, দুয়ারে রেশন দিতে আপত্তি জানিয়ে তাঁদের আদালতে ছোটা, আদালতের কাছ থেকে খালি হাতে ফেরা! বহু চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি এই দুয়ারে রেশন। মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীই উদ্বোধন করবেন এই প্রকল্পের। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আমাদের ১০০ শতাংশ বাড়ির ঠিকানায় দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে এই প্রকল্পের সূচনা হবে।”

সোমবার তার সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান রথীন ঘোষ। তিনি জানান এই পরিষেবার বিস্তারিত জানতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই তা সকলে জানতে পারবেন। যা কিছু বিস্তারিত জানার সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর খুলে চ্যাট উইনডোতে ‘হাই’ লিখলেই জানা যাবে।

খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে সংলগ্ন একাধিক জেলায় রেশন সামগ্রী নিয়ে গাড়ি রওনা দেবে। গ্রাহকের হাতে রেশন তুলে দেওয়া হবে। রাজ্যের ১০ কোটি গ্রাহককে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে খাদ্য দফতর। করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রায় ২১ হাজার রেশন ডিলার রয়েছেন এ রাজ্যে। মাসে একবার গিয়ে বাড়িতে রেশন দেওয়া হবে। যারা বাড়িতে রেশন নিতে চান না, চাইলে রেশন দোকানে গিয়েও রেশন নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে রাজ্য জুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে খাদ্য দফতর। কিন্তু এরই মধ্যে রেশন ডিলাররা মামলা করে আদালতে। রেশন ডিলারদের বক্তব্য ছিল, এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে, ডিলারদের উপর চাপ বাড়ছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তাঁরা।

কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, “প্রয়োজনীয়তাই হল উদ্ভাবনের মূল কারণ। একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই বেঁচে থাকার নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে মানুষ বাধ্য হয়েছে ঘরবন্দি থাকতে। বিভিন্ন সংস্থা মানুষের দরজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নতুন উপায় আবিষ্কার করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এবিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সরকারি বা আধা-সরকারি সংস্থাগুলিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই।”

একই সঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বক্তব্য ছিল, চিকিৎসা, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থা-সহ সব পরিষেবাই এখন একটি বোতাম টিপেই পাওয়া যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসও গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের ধারণাও পাল্টাতে শুরু করেছে। মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করছেন। অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়েছে নগরজীবন। ভিড়ের মধ্যে দোকানে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চাইছেন মানুষ। এরকম একটা পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুয়ারে রেশনের নামে মানুষের দোরগোড়ায় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ আইন ভাঙার সমান হতে পারে বলে মনে করছেন না তিনি।

আরও পড়ুন: Forward Bloc: পুরভোটে কংগ্রেসের হাত ধরবে না, দরকার নেই আইএসএফকেও! বৈঠকে জানিয়ে দিল ফরওয়ার্ড ব্লক

Next Article