DumDum Syndicate: ঠিক কোন কোন ধাপে প্রভাবশালী নেতাদের ‘প্রণামী’ দিতে হয়? দমদমের প্রমোটারদের কথাতেই বিস্ফোরক তথ্য

DumDum Syndicate: সিন্ডিকেটের একেবারে প্রাথমিক ধাপ হল, যখন কোনও পার্টির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন প্রোমোটাররা, তাঁকে সেই ওয়ার্ডের প্রভাবশালী নেতাকে 'প্রণামী' দিতে হয়। কী সেই 'প্রণামী'?

DumDum Syndicate: ঠিক কোন কোন ধাপে প্রভাবশালী নেতাদের 'প্রণামী' দিতে হয়? দমদমের প্রমোটারদের কথাতেই বিস্ফোরক তথ্য
দমদমেও সিন্ডিকেট রাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 19, 2022 | 1:33 PM

কলকাতা: সিন্ডিকেট রাজ! তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির পাশে সিন্ডিকেট নিয়ে সংঘর্ষের জেরে তপ্ত থেকেছে শহর কলকাতা। সিন্ডিকেট রাজের ধারাপাতে আদি ও অকৃত্রিম অবস্থান বজায় রেখে চলেছেন সেই সাংসদেরই নির্বাচনী কেন্দ্র দমদম। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, দমদমের ওলিগলিতে প্রচলিত একটা প্রবাদ, ‘সবার ওপরে সিন্ডিকেট সত্য, তার ওপরে কেহ নেই।’ কিন্তু প্রশ্ন, সিন্ডিকেট প্রথা এখানে চলে কীভাবে? TV9 বাংলা কথা বলেছিল সেখানকারই কয়েকজন প্রভাবশালী প্রমোটারের সঙ্গে। তাঁদের অবশ্য অনেকেই নিজেদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন না।

সিন্ডিকেটের একেবারে প্রাথমিক ধাপ হল, যখন কোনও পার্টির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন প্রোমোটাররা, তাঁকে সেই ওয়ার্ডের প্রভাবশালী নেতাকে ‘প্রণামী’ দিতে হয়। কী সেই ‘প্রণামী’? দমদম সংসদীয় এলাকায় জায়গা বুঝে একটা থোক টাকা, সেটা দু’লক্ষ,তিন লক্ষ কিংবা তারও বেশি হতে পারে।

তারপরের ধাপ হল সিন্ডিকেটের বরাত। এখন এই মুহূর্তে দমদম এলাকায় সেই রেট চলছে ৩৫০-৩৭০ টাকা স্কোয়্যার ফিট। প্রোমোটারদের কথায়, এতে আবার রয়েছেন সেই দাদা-দিদিদেরই অনুগামীরা। তাঁদেরকে সেই টাকা দিতে হয়। তাঁরাই মূলত ইট-বালি-সিমেন্টের বরাত পান।

এর অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। প্রমোটারদের চলতি কথায়, তা হল ‘সিন্ডিকেট কেনা’। এই অনুগামীদের বরাত না দিয়ে তাঁদেরকে একটা থোক টাকা দিয়ে দেওয়া হল। একেবারে কর্পোরেট কায়দায় চলে সিন্ডিকেট রাজ।

দমদমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, “আমার আগে যিনি এই ওয়ার্ডে ছিলেন, তিনি হলে রাজু সেন শর্মার স্ত্রী জয়ন্তী সেন শর্মা। ৭ বছর তিনি ওয়ার্ড দেখেছেন। ওঁ যেভাবে ওয়ার্ডটা করায়ত্ত করেছিলেন, তাতে মনে করছেন, আমি জিতলেও ওয়ার্ড ওঁর হাতেই থাকবে। যেহেতু ওখানে কিছু সিন্ডিকেট রাজ রয়েছে, ওই জায়গাটাকে ওঁ ধরে রাখবেন।” অর্থাৎ কাউন্সিলরদের মধ্যেই যে সিন্ডিকেট নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। আর এরই ফায়দা লুঠছে এক শ্রেণির মানুষ।

প্রসঙ্গত, সোমবারই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লেক গার্ডেন্সের বাড়ি পাশে সিন্ডিকেট নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে থানার ওসিকে ফোন করেন খোদ সাংসদ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Lake Gardens Clash: সিন্ডিকেটের মদতদাতা কে? সৌগত রায়ের বাড়ির পাশে সংঘর্ষের নেপথ্যে দুই প্রভাবশালী নেতা?