কলকাতা: বাংলায় এবার রাজ্যপাল হিসেবে প্রথমবার পুজো কাটালেন সি ভি আনন্দ বোস। পুজোর কয়েকদিন একাধিক মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিসর্জনের সময় উপস্থিত হয়েছিলেন গঙ্গার ঘাটে। আর দশমীর দিনই বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার জন্য তিনি বেছে নিলেন ৪ সেরা পুজোকে। থিম, মণ্ডপসজ্জা থেকে বিষয় ভাবনার ওপর ভিত্তি করে দুর্গা রত্ন পুরস্কারের জন্য পুজোগুলিকে বেছে নিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মণ্ডপে বাঙালিয়ানার প্রতিফলন আছে কি না, সেটাও দেখেছেন রাজ্যপাল। তবে সেরা পুজো বাছাই করা হয়েছে সাধারণ মানুষের ভোটের ভিত্তিতে। রাজভবনের ইমেল আইডি-তে যে সব পুজোর নাম পৌঁছেছিল, তার মধ্য়ে থেকেই এই চারটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া-র তরফে থেকে পুরস্কার মূল্য হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বাছাই করা পুজোগুলিকে।
তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে উত্তর কলকাতার পুজো ‘টালা প্রত্যয়’-এর নাম। মণ্ডপ জুড়ে আলো-আঁধারির যে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, তার জন্যই পুরস্কৃত হচ্ছে ‘টালা প্রত্যয়’। এবার শহরের পুজোগুলির মধ্যে ভিড়ের মাপকাঠিতেও এগিয়েছিল টালা প্রত্যয়। এরপরই নাম রয়েছে হুগলির অন্যতম পুজো ‘কল্যাণী আইটিআই’-এর নাম। মূলত জাঁকজমকের জন্য এই মণ্ডপকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলার পুজো হলেও, এবার বহু মানুষ কলকাতা থেকেই দেখতে গিয়েছেন এই পুজো।
তৃতীয় পুজো হল উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের ‘বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব’-এর পুজো। মূলত সবুজায়নকে সামনে রেখেই থিম তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতার জন্যই দুর্গা রত্ন দেওয়া হচ্ছে ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের। চতুর্থ পুজো হল বরানগরের ‘নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড’। সৃজনশীল থিমের জন্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ওই পুজোকে।
গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিনই রাজভবনের তরফ থেকে এই বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সেরা পুজো বেছে নেবেন সাধারণ মানুষই। রাজভবনের তরফ থেকে ই মেল আইডি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিল পুজো উদ্যোক্তারা।