Durga Puja 2022: তপতী গুহ ঠাকুরতার বক্তব্যে মুখ খুললেন বিজেপি নেত্রী, পাল্টা তোপ কুণালেরও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 05, 2022 | 7:14 AM

Durga Puja: নবমীতে পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়েই তপতী গুহঠাকুরতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিতে কেন্দ্র-রাজ্যের দাবি নিয়ে যে তরজা হবে তা তাঁকে অবাক করে না।

Follow Us

কলকাতা: ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজ তকমা দেওয়া ইস্তক রাজনীতির দড়ি টানাটানি চলছেই। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি এনে দেওয়ার পিছনে কেন্দ্র সরকার নাকি রাজ্য সরকারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য তা নিয়ে বাকযুদ্ধ এগিয়েছে বহু দূর। সেই লড়াই জিইয়ে রইল পুজোর মধ্যেও। আর তা গবেষক তপতী গুহঠাকুরতার এক বক্তব্যকে সামনে রেখে। নবমীতে পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়েই তপতী গুহঠাকুরতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিতে কেন্দ্র-রাজ্যের দাবি নিয়ে যে তরজা হবে তা তাঁকে অবাক করে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই কাজের পর কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এ নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। ইউনেস্কোর সার্টিফিকেট টুইট করবেন বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, “উনি ১৫ লক্ষ টাকা কনসালটেন্সি ফি পেয়েছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, কেন্দ্রের আসল চেহারা এখন মানুষ দেখতে পাচ্ছেন।

তপতী গুহঠাকুরতার বক্তব্য, “পুজো নিয়ে আমার কাজ বহুদিনের। আমি দুই দশক আগে গবেষক হিসেবে পুজোর কাজে নামি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ওই কাজ করার পর আমার কোনও যোগাযোগ নেই। এখানকার সরকারই বলুন কী কেন্দ্রীয় সরকারই বলুন, এই স্বীকৃতিটা তারা নিজেদের হয়ে নেবে, এটা কিন্তু আমাকে অবাক করে না। আমার মতে আমি যথেষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছি। এই নিয়ে কোনওরকমের আফশোস নেই। সরকারের কাছ থেকে মস্ত বড় একটা স্বীকৃতি পাব এ আশা আমার কখনই ছিল না। এটা আমার প্রয়োজনও না। সারা কর্মজীবন আমি এ শহরে কাটিয়েছি। আমার দুর্গাপুজোটাও এই শহরে। এটা শহরকে কিছু একটা ফেরত দেওয়ার মতো। একটা স্বীকৃতি এসেছে, এটা শহরেরই।”

তপতীদেবীর এই বক্তব্যের পাল্টা মীনাক্ষী লেখি বলেন, “যদি উনি এ ধরনের কথা বলে থাকেন আমি ইউনেস্কোর যে সার্টিফিকেট এসেছে সেটা টুইট করতে চাইব। ১৫ লক্ষ টাকা উনি কনসালটেন্সি ফি পেয়েছেন। ১০ লক্ষ টাকা যে কাজ উনি করেছেন তার জন্যে, ৫ লক্ষ টাকায় সিনেমা তৈরি হয়েছে। আমি এগুলি টুইট করে দেব। আমি মানুষের এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করি। যিনি পয়সা নেওয়ার পরে এ ধরনের কথা বলেন। এটা নোংরা রাজনীতি।”

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “তপতীদেবী সিরিয়াসলি কাজ করেছেন। ফলে ওনার আক্ষেপ থাকতেই পারে। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেদিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর কর্মসূচি হল, সেদিন শ্রদ্ধেয়া তপতীদেবীকে যথাযোগ্য সম্মান এবং সংবর্ধনা দিয়েছেন। তপতীদেবীর মতো গবেষক যখন কাজ করেন অথচ স্বীকৃতি দেয় না, ইউনেস্কো দিলে বলে ‘আমরা করেছি’। এ তো পুজো চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া।”

কলকাতা: ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল হেরিটেজ তকমা দেওয়া ইস্তক রাজনীতির দড়ি টানাটানি চলছেই। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি এনে দেওয়ার পিছনে কেন্দ্র সরকার নাকি রাজ্য সরকারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য তা নিয়ে বাকযুদ্ধ এগিয়েছে বহু দূর। সেই লড়াই জিইয়ে রইল পুজোর মধ্যেও। আর তা গবেষক তপতী গুহঠাকুরতার এক বক্তব্যকে সামনে রেখে। নবমীতে পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়েই তপতী গুহঠাকুরতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিতে কেন্দ্র-রাজ্যের দাবি নিয়ে যে তরজা হবে তা তাঁকে অবাক করে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই কাজের পর কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। এ নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। ইউনেস্কোর সার্টিফিকেট টুইট করবেন বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, “উনি ১৫ লক্ষ টাকা কনসালটেন্সি ফি পেয়েছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, কেন্দ্রের আসল চেহারা এখন মানুষ দেখতে পাচ্ছেন।

তপতী গুহঠাকুরতার বক্তব্য, “পুজো নিয়ে আমার কাজ বহুদিনের। আমি দুই দশক আগে গবেষক হিসেবে পুজোর কাজে নামি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ওই কাজ করার পর আমার কোনও যোগাযোগ নেই। এখানকার সরকারই বলুন কী কেন্দ্রীয় সরকারই বলুন, এই স্বীকৃতিটা তারা নিজেদের হয়ে নেবে, এটা কিন্তু আমাকে অবাক করে না। আমার মতে আমি যথেষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছি। এই নিয়ে কোনওরকমের আফশোস নেই। সরকারের কাছ থেকে মস্ত বড় একটা স্বীকৃতি পাব এ আশা আমার কখনই ছিল না। এটা আমার প্রয়োজনও না। সারা কর্মজীবন আমি এ শহরে কাটিয়েছি। আমার দুর্গাপুজোটাও এই শহরে। এটা শহরকে কিছু একটা ফেরত দেওয়ার মতো। একটা স্বীকৃতি এসেছে, এটা শহরেরই।”

তপতীদেবীর এই বক্তব্যের পাল্টা মীনাক্ষী লেখি বলেন, “যদি উনি এ ধরনের কথা বলে থাকেন আমি ইউনেস্কোর যে সার্টিফিকেট এসেছে সেটা টুইট করতে চাইব। ১৫ লক্ষ টাকা উনি কনসালটেন্সি ফি পেয়েছেন। ১০ লক্ষ টাকা যে কাজ উনি করেছেন তার জন্যে, ৫ লক্ষ টাকায় সিনেমা তৈরি হয়েছে। আমি এগুলি টুইট করে দেব। আমি মানুষের এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করি। যিনি পয়সা নেওয়ার পরে এ ধরনের কথা বলেন। এটা নোংরা রাজনীতি।”

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়িয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “তপতীদেবী সিরিয়াসলি কাজ করেছেন। ফলে ওনার আক্ষেপ থাকতেই পারে। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেদিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানোর কর্মসূচি হল, সেদিন শ্রদ্ধেয়া তপতীদেবীকে যথাযোগ্য সম্মান এবং সংবর্ধনা দিয়েছেন। তপতীদেবীর মতো গবেষক যখন কাজ করেন অথচ স্বীকৃতি দেয় না, ইউনেস্কো দিলে বলে ‘আমরা করেছি’। এ তো পুজো চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া।”

Next Article