কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Elections) যত এগিয়ে আসছে, ততই তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ। চলছে আক্রমণ – প্রতিআক্রমণের পালা। সব রাজনৈতিক দল নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েতের মহারণের নীল নকশা। বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া বামেদের কাছে এই নির্বাচন অস্তিত্ব প্রমাণের লড়াই। আর এই নির্বাচনের আগে বেশ ঝাঁঝালো বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদকের বার্তা, পঞ্চায়েত ভোটে বাধা দিলে এবার বুঝে নেবে ডিওয়াইএফআই। রাস্তায় থেকে বুঝে নেওয়া হবে। যে ভাষায় শাসক দল বুঝবে, সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে। দলীয় কর্মশালায় এদিন এমনই বার্তা দিয়েছেন মীনাক্ষী। অর্থাৎ, পঞ্চায়েত ভোটে যে বিনা যুদ্ধে ময়দান ছাড়বেন না লাল পতাকার ধারক-বাহকরা, এদিন সেটাই বারে বারে বুঝিয়ে দিলেন মীনাক্ষী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে বামেরা যে তরুণ মুখদের লড়াইয়ের সামনের সারিতে নিয়ে এসেছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মীনাক্ষী। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েটের মাঝে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন মীনাক্ষী। ভোট ময়দানে জিততে না পারলেও, মীনাক্ষীর সেই হার না মানা লড়াই নতুন করে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে নিস্তেজ হয়ে পড়া বাম ব্রিগেডকে। পরবর্তীতে ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুবদের ডাকে ‘ইনসাফ সভা’-র সময়েও দলের অন্দরে মীনাক্ষীকে নিয়ে আলাদা উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। ডেকেছে ক্যাপ্টেন হ্যাশট্যাগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ইনসাফ সভার পোস্টার। এবার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের যুব সংগঠনকে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামাতে তৎপর মীনাক্ষীরা।
কিছুদিন আগেই রাজ্যের শাসক শিবিরকে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছিলেন বাম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ‘বেশি ট্যাঁ ফুঁ করো না। যেদিন উন্মত্ত জনতা টেংরি ছাড়িয়ে নেবে, সেদিন বুঝবে।’ প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে, মীনাক্ষী যেখানেই সভা করেছেন, সেখানেই ভিড় হয়েছে। কার্যত উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এমনকী বৃষ্টির মধ্যেও সভা চলেছে মীনাক্ষীর। এবার পঞ্চায়েতের নির্বাচনের আগে বামেদের তরুণ ব্রিগেডকে ময়দানে নামানোর গুরু দায়িত্ব মীনাক্ষীর কাঁধে।