Bowbazar Metro: বউবাজারে আবার মেট্রোর কাজে বিপত্তি, ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকেরা

Bowbazar Metro: স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নোটিস দেওয়া ছিল অন্যত্র থাকার জন্য। কিন্তু ২ তারিখই ঠিকানায় ফেরানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, কেন তিন আগে আনা হল, কেনই বা আবারও ঘরছাড়া হতে হচ্ছে? তাঁদের প্রশ্ন, একেবারে কাজ শেষ করার পর কেন আনা হচ্ছে না?

Bowbazar Metro: বউবাজারে আবার মেট্রোর কাজে বিপত্তি, ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকেরা
ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2024 | 9:56 AM

কলকাতা: মেট্রোর কাজ ঘিরে আবারো বিপত্তি। বউবাজার দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর ক্রসপ্যাসেজ নির্মাণের সময় আবারও বাধা ‘ওয়াটার লিকেজ’। গত মাসের ২৬ তারিখ থেকে এ মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার ফের বাসিন্দাদের নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, কিন্তু মেট্রোর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাঁদের আবার হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বারবার ঘরে ফেরা, আবারও ঘর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে দুর্গাপিতুরি লেনের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নোটিস দেওয়া ছিল অন্যত্র থাকার জন্য। কিন্তু ২ তারিখই ঠিকানায় ফেরানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, কেন তিন আগে আনা হল, কেনই বা আবারও ঘরছাড়া হতে হচ্ছে? তাঁদের প্রশ্ন, একেবারে কাজ শেষ করার পর কেন আনা হচ্ছে না?

কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫টি বিল্ডিংয়ের ৫২ জন বাসিন্দাকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে বাসিন্দাদের।

এই খবরটিও পড়ুন

২০১৯ সাল থেকে ২০২৪। গত পাঁচ বছরে বারবার এই বউবাজার সংলগ্ন দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর কাজ নিয়ে নানা বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। ৯ নম্বর দুর্গাপিতুরি লেনে হাওড়া থেকে শিয়ালদহগামী মেট্রোর লাইনের কাজ চলছে। আর সেখানেই ক্রস প্যাসেজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। সরানো হয়েছে এখানকার বাসিন্দাদেরও।

স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “এ যে কী দুর্ভোগ যাদের হয় তারাই বোঝে। দু’দিন বাদে বাদে শিফ্ট করা সত্যিই কি খুব সহজ? মাঝরাতে শিফ্ট করতে হলে যা যা ভোগান্তি হয়, আমাদেরও হচ্ছে।” কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, দুর্গাপিতুরি লেনে দু’টি টানেলকে যেখানে যুক্ত করা হচ্ছে, তারই মাঝখান থেকে ওই পাইপের মধ্যে দিয়ে জল বেরোতে দেখা যায়। যদিও জলের স্রোতের গতিবেগ অত্যন্ত কম ছিল বলেই সূত্রের খবর। যা নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই বলেই দাবি করেছেন কেএমআরসিএলের কর্তারা।

স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, “২০১৯ থেকে ঘটে চলেছে এই ঘটনা। যখনই এই ঘটনা ঘটছে সকলে বলছে আর হবে না। পাঁচ বছর শেষ হয়ে ছ’ বছর হয়ে গেল, কেউ তো দায়িত্বই নিচ্ছে না। ওরা বলল কাজ হয়ে গিয়েছে ফিরে এসো। রোগীকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে দিল, বাড়ি ফিরেই পেশেন্ট মরে গেল। যা বোঝায়, এখানেও তাই চলছে।”