নয়া দিল্লি ও কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে ইডি আরও জানিয়েছে, চিটফান্ড সংস্থা অ্য়ালকেমিস্ট গ্রুপের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে ইডির এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরের। যদিও ইডির এই ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্ট বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ। অ্যালকেমিস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড এবং অ্য়ালকেমিস্ট টাউনশিপ ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে টোপ ফেলা হয়েছিল। দুর্দান্ত রিটার্নের টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল সাধারণ মানুষজনকে। কিন্তু জমা দেওয়া সেই টাকা আর ফেরত পাননি তাঁরা। উল্টে ওই টাকাগুলি অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের অন্যান্য সংস্থায় সাইফন হয়ে গিয়েছিল বলে বিবৃতিতে জানাচ্ছে ইডি।
ইডির ওই তদন্তে আরও উঠে এসেছে, প্রতারণার এই টাকা বিভিন্নভাবে খরচ করা হয়েছে। ইডির দাবি, প্রতারণার টাকার একটি অংশ ব্যবহার করা হয়েছে তৃণমূলের জন্য বিমানের টিকিটের খরচ দিতে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা টাকা অ্য়ালকেমিস্ট এয়ারওয়েজ় প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে বিভিন্ন উড়ান সংস্থা ও হেলিকপ্টার সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের জন্য। ইডির তরফে আরও দাবি করা হচ্ছে, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় একাধিক তৃণমূল তারকা প্রচারকের প্রচার কর্মসূচির সময় সেগুলি ব্যবহার হয়েছিল।
ইডির এই বিবৃতির পর এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শাসক শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইডির দিল্লি জোনাল অফিসের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এটি হিমশৈলের চূড়া হিসেবেও বর্ণনা করা যায় না। এটি খুব বেশি হলে একটি বরফের টুকরো।’