ED Raid News: হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানোর অভিযোগ! বিমা এজেন্টের বাড়িতে গেল ED
ED Raid in Bengal: ইডি অভিযানের সময় নিজের বাড়িতেই ছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জীব বয়েড। ঘণ্টাখানেক তল্লাশির পর আপাতত ওই এজেন্টের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র। ইডি সূত্রে খবর, বালি পাচার ও কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি যে সব দাবি করেন, তার সঙ্গে ইডির কাছে থাকা নথিপ্রমাণের মিল নেই।

কলকাতা: কেটে গিয়েছে চার ঘণ্টা। কিন্তু ইডি এখনও বাড়ির বাইরে বেরোয়নি। সোমবার সকাল থেকেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজ্যের সাত-আট জায়গায় চলছে তল্লাশি-অভিযান। এই প্রথম বালি পাচার মামলায় অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই আবহেই তারা গিয়েছে রিজেন্ট কলোনির রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এজেন্ট সঞ্জীব বয়েডের বাড়িতে।
কিন্তু বালি পাচার মামলার সঙ্গে কীভাবে জুড়ে গেল এই বিমা এজেন্ট? জানা গিয়েছে, সাধারণের কাছে তিনি বিমা সংস্থার সাধারণ এজেন্ট হলেও, বিশেষ একটা অংশের কাছে তার পরিচয় হাওয়ালাকারী হিসাবে। কালো টাকা সাদা করা, হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানোর মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই সকল বেআইনি পথেই গত দশ বছরে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল হারে বৃদ্ধি করেছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি অভিযানের সময় নিজের বাড়িতেই ছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জীব বয়েড। ঘণ্টাখানেক তল্লাশির পর আপাতত ওই এজেন্টের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র। ইডি সূত্রে খবর, বালি পাচার ও কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি যে সব দাবি করেন, তার সঙ্গে ইডির কাছে থাকা নথিপ্রমাণের মিল নেই। তদন্তের অভিমুখ পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অবশ্য, এই সঞ্জীব বয়েডের সঙ্গে ঝাড়গ্রামের বালি ‘ব্যবসায়ী’ শেখ জাহিরুলের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে অনুমান, জাহিরুলের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেই এই সঞ্জীবের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সম্ভবত, জাহিরুলে কালো টাকা বিমাতেও বিনিয়োগ করতেন এই সঞ্জীব বয়েডই।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম-সহ নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, এমনকি শহরের নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডির তদন্তকারী। বেহালার জেমস লং সরণীতে জিডি মাইনিং নামে এক সংস্থার অফিসে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই সংস্থার আরও একটি অফিস রয়েছে বিধাননগরের নয়া ‘অফিসপাড়া’ সেক্টর-৫-এ। সেখানেও এসে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, অভিযুক্ত জাহিরুল এই জিডি মাইনসের হয়েই কাজ করতেন বলে খবর।
