ED: অপা-র তো শুধু ৫২ কোটি! গত চার বছরে ED শুধুমাত্র বাংলা থেকে কত হাজার কোটি উদ্ধার করল জানেন

সুজয় পাল | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 23, 2024 | 1:52 PM

ED money recovered: শিলংয়ের একটি মামলায় (ম্যাট্রিক্স পার্টনার ফান্ড অ্যাপ) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ শুধু এই ৫০ কোটি টাকা বাদে বাকি প্রায় পুরোটাই উদ্ধার হয়েছে বাংলা থেকে।

ED: অপা-র তো শুধু ৫২ কোটি! গত চার বছরে ED শুধুমাত্র বাংলা থেকে কত হাজার কোটি উদ্ধার করল জানেন
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সারদা-রোজভ্যালি জমানাতেও যা হয়নি, বাংলায় তা হয়েছে শেষ চার বছরে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইডি-র ইস্টার্ন জোনে যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা কার্যত দেশের মধ্যে নজির তৈরি করেছে। জোন হিসেবে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্কের সম্পত্তি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইস্টার্ন জোনের বিদায়ী স্পেশাল ডিরেক্টর সুভাষ আগরওয়ালের সময়কালেই এই টাকা উদ্ধার হয়েছে। আজ, সোমবার স্পেশাল ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ইডি-র ইস্টার্ন জোনের  সত্যব্রত কুমার।

ইডি-র সদর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চার বছরে ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ইস্টার্ন জোন থেকে। কেন্দ্রীয় এই এজেন্সির কাছে এটা রেকর্ড। যদিও ইস্টার্ন জোনের মধ্যে বাংলা ছাড়াও ওড়িশা, অসম, মেঘালয়, মণিপুরের মতো রাজ্য রয়েছে, তবে এই ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে বেশিরভাগটাই উদ্ধার হয়েছে বাংলা থেকে।

ইডি সূত্রে খবর, চিটফান্ড জমানার পর কয়েক বছর কার্যত ‘শীত ঘুম’ দিচ্ছিল ইডি। চারপর গত চার বছরে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ, পুর নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি- গোটা রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি’র সদর দফতর বলছে, হাই প্রোফাইল মামলায় তল্লাশি-গ্রেফতারের সংখ্যাও চার বছরে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি। উল্লেখ্য়, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল মোট ৫২ কোটি টাকা। সেই টাকার পাহাড় দেখে চমকে গিয়েছিল রাজ্যবাসী। তবে আদতে টাকার অঙ্ক তার থেকে কয়েক গুণ বেশি।

এই খবরটিও পড়ুন

তবে যে সব হাই প্রোফাইল দুর্নীতি মামলার জেরে এই রেকর্ড তৈরি হয়েছে, সেই সবক’টি মামলার একটিতেও এখনও বিচার শুরু হয়নি। যার জেরে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। আদালতে মুখ পুড়ছে ইডি-র। তাই এই পরিস্থিতিতে মামলার দ্রুত বিচার শুরু করে অভিযুক্তদের জামিন আটকানো নতুন স্পেশাল ডিরেক্টরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

কোন দুর্নীতিতে কত টাকা বাজেয়াপ্ত

১. প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত ১৫০ কোটি টাকা।

২. এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত ২৩০ কোটি টাকা।

৩. বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় বাজেয়াপ্ত ১০,০০০ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)।

৪. ই-নাগেটস গেম অ্যাপ মামলায় বাজেয়াপ্ত ১৫০ কোটি টাকা।

৫. টিপি গ্লোবাল অনলাইন ফোরেক্স স্ক্যাম মামলায় বাজেয়াপ্ত ২৭৫ কোটি টাকা।

৬. ভুয়ো কল সেন্টার (Met টেকনোলজি) মামলায় বাজেয়াপ্ত ৯০ কোটি টাকা।

৭. সন্দেশখালি জমি দখল দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত ৩০ কোটি টাকা।

৮. রেশন দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত ৩৬ কোটি টাকা।

৮. গণেশ জুয়েলারি জালিয়াতি মামলায় ফেমা আইনে জরিমানা নেওয়া হল ৬৫০০ কোটি।

এছাড়াও শিলংয়ের একটি মামলায় (ম্যাট্রিক্স পার্টনার ফান্ড অ্যাপ) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ শুধু এই ৫০ কোটি টাকা বাদে বাকি প্রায় পুরোটাই উদ্ধার হয়েছে বাংলা থেকে।

ইডি-র নয়া স্পেশাল ডিরেক্টর সত্যব্রত কুমারের সামনে এখন বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ করেন। তবে তাঁর রেকর্ডও কিছু কম নেই। নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া, ইকবাল মির্চির-র মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন সত্যব্রত। নীরব মোদি ও মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে হওয়া পিএমএলএ (PMLA) মামলায় দেশের মধ্যে প্রথম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিরিয়েছেন তিনি।

Next Article