Partha Arpita Accounts: পার্থ-অর্পিতার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫০ , ব্যাঙ্কের কাছে ‘স্টেটমেন্ট’ চাইল ইডি

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 06, 2022 | 1:21 PM

Partha Arpita Accounts: অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের যৌথ মালিকানায় থাকা সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে।

Partha Arpita Accounts: পার্থ-অর্পিতার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫০ , ব্যাঙ্কের কাছে স্টেটমেন্ট চাইল ইডি
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়

Follow Us

কলকাতা : গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ইডি হেফাজতেই ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। কোথায় ফ্ল্যাট রয়েছে? কী কী ভুয়ো সংস্থা রয়েছে? প্রথম থেকেই এ সব জানার চেষ্টা করেছে ইডি। দু’জনের নামে থাকা একাধিক ভুয়ো সংস্থার কথা আগেই আদালতে জানানো হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে। আর এবার পার্থ ও অর্পিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা আদালতে জানাল ইডি।

দুজনের নামে অন্তত ৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানিয়েছে ইডি। সেই সব অ্যাকাউন্টগুলির তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে ওই সব অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়েছে। স্টেটমেন্ট পেলে অডিট করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক অডিট শুরু হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ফরেনসিক অডিট হল এমন একটি বিষয়, যার মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত অনেক খুঁটিনাটি তথ্য জানা যায়। এর আগে সারদা কেলেঙ্কারির সময়েও ফরেনসিক অডিট করা হয়েছিল। এর থেকে দুর্নীতির সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামেই নেই। অর্পিতার নামে থাকা সংস্থারও বেশি কিছু অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোনও বেআইনি লেনদেন চলত কি না, কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া চলত কি না, এ সব খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।

ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেরায় উঠে এসেছে ভুয়ো সংস্থা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। ওই সব সংস্থার নামে টানা লেনদেন হত বলেও জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। সেই টাকা উৎস কী, তা সন্ধান করতে গিয়েই এ সব তথ্য সামনে আসছে। তদন্তের শুরুতেই ইডি-র আইনজীবী দাবি করেছিলেন, পেঁয়াজের খোসার মতো পরতে পরতে তথ্য রয়েছে। সে সব তথ্য ক্রমশ বেরিয়ে আসবে।

আপাতত আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা। তবে জেলে গিয়েও তাঁদের জেরা করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে।

Next Article