কলকাতা: সকাল থেকে টানা অভিযান। শেষে সন্ধেয় বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বেরোয় ইডি। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে কী কী নিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা? জানা যাচ্ছে, তাপস রায়ের বাড়ি থেকে ইডির তদন্তকারী দল একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নথি-পত্রও ইডির অফিসাররা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কী ছিল সেই নথি-পত্রগুলির মধ্যে? ইডির টিম বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তাপসবাবু জানালেন, নথিগুলির মধ্যে বেশ কিছু আবদেনপত্র রয়েছে। যা বিধায়কের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা দিয়ে যেতেন বলে দাবি তৃণমূল নেতার। সেখানে অনেকের বায়োডেটা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তাপসবাবুর দাবি, বিধায়কের কাছে স্থানীয়রা এরকম দিয়ে যান, জনপ্রতিনিধি হয়ে তাঁদের না বলা যায় না।
রাজ্য রাজনীতিতে মোটের উপর স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি নিয়েই চলেন বরাহনগরে বিধায়ক তথা দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিক তাপস রায়। তাঁর বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী বিজেপি শিবির থেকেও কিছুটা নরম প্রতিক্রিয়া এসেছে। যেমন উত্তর কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, ‘ভাবতে কষ্ট হয়। আমি বিশ্বাস করতাম, এদের মধ্যে কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। এবার ইডি-সিবিআই গেলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন উঠে যায়।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীরও তাপসের বিষয়ে সুর কিছুটা নরম। ব্যক্তিগত পরিচিতির কথা বলে অধীরবাবু বললেন, ‘তাপস রায় চুরি করেছেন বলে মনে হয় না আমার। তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। এখন ভিড়ের মধ্যে অনেকে পড়ে যান। তবে তাপস রায় এই ধরনের মানুষ বলে আমি মনে করি না। এই ধরনের দুর্নীতির মধ্যে তাপস রায়ের থাকার সম্ভাবনা কম।’