AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu on SIR: রোহিঙ্গা আর আজাদ হিন্দ ফৌজ এক! শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

Bratya Basu on SIR: ব্রাত্য বসুই আজাদ হিন্দ বাহিনীর অপমান করেছে বলে দাবি বিজেপির। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ব্রাত্যকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, "ব্রাত্য বসু তো একজন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি কোন জায়গায় নেমে গিয়েছেন। এই জায়গায় না নামলে বোধ হয় তৃণমূল করা যায় না।"

Bratya Basu on SIR: রোহিঙ্গা আর আজাদ হিন্দ ফৌজ এক! শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2025 | 4:12 PM
Share

কলকাতা: নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করতেই বিরোধিতা শুরু করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এসআইআরের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছিলেন। এবার পথে নেমে প্রতিবাদও জানাবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে এসআইআর-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য যা বলেছেন, তাতে প্রায় একই পংক্তিতে দাঁড় করানো হয়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী ও নেতাজি সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজকে। সেই মন্তব্যই তৈরি করেছে তীব্র বিতর্ক। বিরোধীরা

বিজেপি বারবার সওয়াল করেছে যে এসআইআর এ রাজ্যে কার্যকর হলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের আটকানো সম্ভব হবে। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই ব্রাত্য বসু বলেন, “বিজেপি একটা বিপজ্জনক দল। ওরা ম্যাপ বোঝে না। মায়ানমার থেকে যে পথে রোহিঙ্গারা ঢোকে সেটা বর্মা থেকে কলকাতা আসার রাস্তা। ওটা আজাদ হিন্দ ফৌজ বাহিনীর রাস্তা। বিজেপি সেই পথকে অপমান করছে।” এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে কার্যত আজাদ হিন্দ ফৌজ ও রোহিঙ্গাদের একই জায়গায় বসিয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য।

এভাবে আসলে ব্রাত্য বসুই আজাদ হিন্দ বাহিনীর অপমান করেছে বলে দাবি বিজেপির। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ব্রাত্যকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “ব্রাত্য বসু তো একজন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি কোন জায়গায় নেমে গিয়েছেন। এই জায়গায় না নামলে বোধ হয় তৃণমূল করা যায় না।”

শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, “আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সেনানীদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তুলনা করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ১৯৪৪ সালে সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ যখন বর্মা হয়ে ভারতের মাটিতে প্রবেশ করেছিল, তখনও নেহরু কংগ্রেস তাঁদের “অনুপ্রবেশকারী” বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আজ কার্যত একই ভাষা ব্যবহার করার এই অপচেষ্টা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং দেশপ্রেমের প্রতি গভীর অবমাননা।” এই মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছে তারা।