কলকাতা : জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। এবার শিক্ষানীতি কার্যকর করার বিষয়ে পরামর্শ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি দেওয়া হল কাউন্সিল অফ হায়ার এডুকেশন বা উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত কাউন্সিলের তরফে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আদৌ কি এই নীতি চালু করতে পারবে চলতি শিক্ষাবর্ষের মধ্যে? ১৫ দিনের মধ্যে তা জানাতে হবে কাউন্সিলকে। নীতি কার্যকর করতে না পারলে বিকল্প ভাবনা কী? সেটাও জানাতে হবে শিক্ষা দফতরকে। শিক্ষানীতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোনও পরামর্শ থাকলে তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আর বেশিদিন বাকি নেই। তাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার।
জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে মাথায় রেখে একটি ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল সেই কমিটি। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতির একাধিক নিয়ম মানতে হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছ রাজ্য। মূলত নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ক্রেডিড বেসড সিস্টেম প্রয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। তিন বছরের বদলে চার বছরের স্নাতক স্তর করার কথা বলা হয়েছে সেই শিক্ষানীতিতে। এছাড়া পাঠ্যক্রমেও পরিবর্তন আনার কথাও বলা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে দেওয়া চিঠিতে তা জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
এই শিক্ষানীতি নিয়ে প্রথম থেকেই রাজ্য বিরোধিতা করেছিল। রাজ্যের তরফে জাতীয় শিক্ষানীতির পরিবর্তে নয়া শিক্ষানীতি তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।