কলকাতা: দিনভর নজর ছিল গোটা রাজ্যবাসীর। শহর কলকাতার (Kolkata) বেসরকারি হাসপাতালের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক রোগী। যে ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা রাজ্য। হাসপাতালের আট তলার কার্নিশ থেকে মরণঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তারপর থেকে হাসপাতালেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন পাঞ্জা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে মারা গেলেন ওই ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলা প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের জানালা দিয়ে বেরিয়ে কার্নিশে চলে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ছিল সাড়ে ১০টা নয়, সকাল ৮টা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে প্রথম কার্নিশে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
কিন্তু, তারপরেও কেন দ্রুত পুলিশ-দমকলে খবর দেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কেনই বা ডাকা হয়নি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ-দমকল ঘটনাস্থলে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি। দুপুর ১ টা ৫ মিনিট নাগাদ আট তলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন ব্যক্তি। তবে, হাসপাতালের দাবি ঝাঁপ নয়, পাঁ পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পড়ে যাওয়া মাত্রই দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্ট্রেচারে শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভিতরে। তবে আচমকা তিনি কেন ওই কাণ্ড ঘটাতে গেলেন তা নিয়ে সকাল থেকে নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল নাগরিক মহলে।
সূত্রের খবর, দিন ২০ আগে মারা গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই অবসাদেই কী আত্মহত্যা? উত্তর এখনও মেলেনি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতীতেও নাকি তিনি নানা মানসিক জটিলতায় ভুগেছিলেন। তবে সে কারণেই ঝাঁপ কিনা তা এখনও পরিস্কার হয়নি। তবে শহর কলকাতার বুকে আগেও একাধিকবার হাওড়া ব্রিজ সহ নানা বহুতলে উঠতে দেখা গিয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীনদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় দমকল-বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে, এ ক্ষেত্রে কেন ব্যর্থ হল দমকল? কেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ঘটনাস্থলে জাল নিয়ে আসা হলেও শেষ রক্ষা হল না? এ প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে নাগরিক মহলে।