ED: এবার বালুর বনদফতরে ইডির হানা, সল্টলেকের অরণ্য ভবনে আধিকারিকরা

সিজার মণ্ডল | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 19, 2023 | 2:54 PM

ED: রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। তাতে নাম রয়েছে বালু মল্লিক, বাকিবুর রহমানের। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেশনে দুর্নীতি চলেছে। সেই সূত্রেই নথি ও তথ্যের খোঁজে ইডির অরণ্য ভবনে হানা বলে জানা গিয়েছে।

Follow Us

কলকাতা: ফের অ্যাকশনে ইডি। এবার হানা বনদফতরে। মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকে অরণ্য ভবনে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির তদন্তেই এই হানা। রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এই বালুই আবার রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, রেশন-তদন্তের হাত ধরে আবার নতুন কোনও পর্দা না ফাঁস হয়!

রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। তাতে নাম রয়েছে বালু মল্লিক, বাকিবুর রহমানের। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেশনে দুর্নীতি চলেছে। সেই সূত্রেই নথি ও তথ্যের খোঁজে ইডির অরণ্য ভবনে হানা বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের অরণ্য ভবনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। তাঁরা সোজা চলে যান ৯ তলায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাস কামরায়। এখন প্রশ্ন হল খাদ্য দুর্নীতি মামলা হঠাৎ কেন অরণ্য ভবনে কেন ইডি?

খাদ্য দুর্নীতি মামলায় কয়েকদিন আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ইডি জমা দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এই খাদ্য দুর্নীতি অর্থাৎ একদিকে বণ্টন, অন্যদিকে ধান কেনা নিয়ে দুর্নীতি চলছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর বদলের পরও এই দুর্নীতি রমরমিয়ে চলছিল।

সেখান থেকে দু’টো প্রশ্ন উঠছে। ১. বালুর দফতর বদলের পরেও যদি খাদ্য দফতরে সেই দুর্নীতি চলে, তাহলে কি বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? ২. দফতর বদলের পরেও অরণ্যভবনের ৯ তলার দফতর থেকে খাদ্য দফতরের দুর্নীতির সুতো সামলাতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই? সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের হালহকিকত জানতে তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সেই অভিষেকই নাকি জানিয়েছেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আশীর্বাদেই অরণ্য ভবনে চাকরি পেয়েছেন তিনি।

ইডি আধিকারিকদের ইঙ্গিত, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেশ কিছু জোরাল তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যাঁর উপর ভিত্তি করে দফতর হারানোর পরও অরণ্য ভবনে বসেই পুরনো দফতরের দুর্নীতির সমস্ত কলকাঠি নাড়তেন বালু। তাই যখন খাদ্য দুর্নীতির পরিধি তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বড় হচ্ছে এবং দুর্নীতির টাকার অঙ্ক বাড়ছে, তখন ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ অরণ্য ভবনে মন্ত্রীর ঘরে বা তাঁর আপ্তসহায়কের ঘরে খোঁজ মিলতে পারে নতুন কোনও তথ্যের।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্ত করতে গিয়ে অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে এবং হুগলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। আর সেই তল্লাশিতেই নয়া এক দুর্নীতির মোড় দেখা যায়। তা পুরনিয়োগ সংক্রান্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় হাজির হন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। যে কোনও তল্লাশির সময় নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসাবে বাজেয়াপ্ত নথিতে এবং পঞ্চনামাতে সই করবার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদের উপর ভরসা করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই কারণে ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে বলে ইডি আধিকারিকদের ইঙ্গিত।

কলকাতা: ফের অ্যাকশনে ইডি। এবার হানা বনদফতরে। মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকে অরণ্য ভবনে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির তদন্তেই এই হানা। রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এই বালুই আবার রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, রেশন-তদন্তের হাত ধরে আবার নতুন কোনও পর্দা না ফাঁস হয়!

রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। তাতে নাম রয়েছে বালু মল্লিক, বাকিবুর রহমানের। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেশনে দুর্নীতি চলেছে। সেই সূত্রেই নথি ও তথ্যের খোঁজে ইডির অরণ্য ভবনে হানা বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের অরণ্য ভবনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। তাঁরা সোজা চলে যান ৯ তলায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাস কামরায়। এখন প্রশ্ন হল খাদ্য দুর্নীতি মামলা হঠাৎ কেন অরণ্য ভবনে কেন ইডি?

খাদ্য দুর্নীতি মামলায় কয়েকদিন আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ইডি জমা দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এই খাদ্য দুর্নীতি অর্থাৎ একদিকে বণ্টন, অন্যদিকে ধান কেনা নিয়ে দুর্নীতি চলছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর বদলের পরও এই দুর্নীতি রমরমিয়ে চলছিল।

সেখান থেকে দু’টো প্রশ্ন উঠছে। ১. বালুর দফতর বদলের পরেও যদি খাদ্য দফতরে সেই দুর্নীতি চলে, তাহলে কি বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? ২. দফতর বদলের পরেও অরণ্যভবনের ৯ তলার দফতর থেকে খাদ্য দফতরের দুর্নীতির সুতো সামলাতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই? সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের হালহকিকত জানতে তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সেই অভিষেকই নাকি জানিয়েছেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আশীর্বাদেই অরণ্য ভবনে চাকরি পেয়েছেন তিনি।

ইডি আধিকারিকদের ইঙ্গিত, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেশ কিছু জোরাল তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যাঁর উপর ভিত্তি করে দফতর হারানোর পরও অরণ্য ভবনে বসেই পুরনো দফতরের দুর্নীতির সমস্ত কলকাঠি নাড়তেন বালু। তাই যখন খাদ্য দুর্নীতির পরিধি তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বড় হচ্ছে এবং দুর্নীতির টাকার অঙ্ক বাড়ছে, তখন ইডি আধিকারিকদের সন্দেহ অরণ্য ভবনে মন্ত্রীর ঘরে বা তাঁর আপ্তসহায়কের ঘরে খোঁজ মিলতে পারে নতুন কোনও তথ্যের।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্ত করতে গিয়ে অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে এবং হুগলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। আর সেই তল্লাশিতেই নয়া এক দুর্নীতির মোড় দেখা যায়। তা পুরনিয়োগ সংক্রান্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় হাজির হন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। যে কোনও তল্লাশির সময় নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসাবে বাজেয়াপ্ত নথিতে এবং পঞ্চনামাতে সই করবার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদের উপর ভরসা করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই কারণে ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছে বলে ইডি আধিকারিকদের ইঙ্গিত।

Next Article