কলকাতা: গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সিদ্ধার্থ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে দিল্লিতে ইডির (Enforcement Directorate) অফিসে। আগামী ৩০ নভেম্বর দিল্লির অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ওই ব্যক্তি জম্পেশ্বর অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড সহ একাধিক কোম্পানির মালিক। এর পাশাপাশি বীরভূমের এক চালকলের মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তাঁকে ২৮ নভেম্বর হাজিরা দিল্লিতে ইডি অফিসে হাজিরার জন্য বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই সঞ্জীব মজুমদার বীরভূমের সাঁইথিয়ার যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের তিনি বেশ ঘনিষ্ঠ বলেই শোনা যায়। এবার ইডি আধিকারিকরা সিদ্ধার্থ মণ্ডল ও সঞ্জীব মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গরু পাচার মামলার আরও গভীরের কোনও রহস্যভেদের চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলার তদন্তে তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। দুই সংস্থাই সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা তদন্তের জট কাটাতে শুরু করেছেন। বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লটারি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। সেই সব দিকগুলিই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এমন অবস্থায় সিদ্ধার্থ মণ্ডল ও সঞ্জীব মজুমদারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ইডি। গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রতকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছে ইডি। তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।