কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের নিয়ে এ বার চূড়ান্ত তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। সূত্রের খবর, এই ঘটনার মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেব-সহ অভিযুক্ত আরও ৫ ব্যক্তিকে জেলেই জেরা করতে চাইছে তারা। এই মর্মে জেরা করার জন্য ইডি-র বিশেষ আদালতেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। গত মাসে ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলায় আর্থিক তছরুপের দিকটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তভার নেওয়ার পর বস্তুত এই প্রথম বড় পদক্ষেপ করা হল ইডি-র তরফে।
জাল ভ্যাকসিন মামলার তদন্তে নেমে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এদের মধ্যে দেবাঞ্জন ছাড়া আরও ৪ জন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাকিরা আদালতের নির্দেশে রয়েছে সংশোধনাগারে। সবাইকেই জেরা করতে চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মোতাবেক অনুমতিও মিলেছে। সূত্রের খবর, যে যেখানে বন্দি রয়েছে, সেখানে গিয়েই তাঁদের জেরা করার ছাড়পত্র ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে ইডি। একবার দেবাঞ্জনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলেই জেরাও শুরু হয়ে যাবে।
সূত্রের খবর, জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য, মূলত এই দুই বিষয়ের কথা মাথায় রেখেই ইডি-র সদর দফতর থেকে এই ভ্যাকসিন মামলার তদন্তভার শুরু করার নির্দেশ আসে। জালিয়াতির কারবারের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার সেজে দেবাঞ্জন ঠিক কত টাকার জালিয়াতি করেছিল, টাকা কোথা থেকে আসত এবং কোথায় যেত, সমস্ত দিকগুলি খতিয়ে দেখবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। একাধিক বেসরকারি সংস্থায় ভুয়ো ভ্যাকসিন বিক্রি করে যে টাকা দেবাঞ্জন উপার্জন করেছিল, তা কোথায় বিনিয়োগ করা হয় এবং কী ভাবে খরচ হয় সে দিকেও নজর থাকবে ইডি-র আধিকারিকদের।
দিল্লির সূত্র জানাচ্ছে, গত মাসের ৮ তারিখ ইডি-র সদর দফতরে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। যদিও তার আগেই কসবা কাণ্ডে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তার বিস্তারিত নথি চেয়েছিল ইডি। সেই নথি খতিয়ে দেখার পর জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়। এর পাশাপাশি রেমডিসিভির ও অক্সিজেন কালোবাজারির তদন্তভারও ইডি নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এর আগে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এই ঘটনার তদন্ত করছিল।