কলকাতা: টিভি৯ বাংলার খবরেই শেষ পর্যন্ত সিলমোহর লালবাজারের। ট্যাব কাণ্ডে চোপড়াই এপিসেন্টার। জানিয়ে দিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশ এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সরশুনা থানাতেও নতুন মামলা দায়ের। এছড়াও সরশুনা ৩১, যাদবপুরের ৬ জন, মানিকতলার ২ জন, ওয়াটাগঞ্জের ২, কসবার ১১ জন, জোড়াবাগানের ৪২ জন, ভবানীপুরের ২, গল্ফগ্রিনের ৪, বেনিয়াপুকুরের ৫ জনের টাকা অন্যত্র গিয়েছে। কলকাতায় মোট ১০৭ জনের টাকা অন্যত্র গিয়েছে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে লালবাজার।
তদন্তে জানা গিয়েছে আইপি আড্ড্রেসও উত্তরবঙ্গর। যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে তাঁরা উত্তরবঙ্গর বাসিন্দা। টাকা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মাত্র ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যেই এটিএম থেকে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই খবর গিয়েছিল পুলিশের কাছে। টাকা তোলার আগেই লালবাজারের তরফে কিছু অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়। ৭টি অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলেও খবর।
আগেই জানা গিয়েছিল বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টই টাকা তোলার জন্য ভাড়ায় খাটানো হয়েছিল। ভাড়া নিতে ৩০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চোপড়ার এখনও ৬ জন পলাতক। তবে ওই এলাকায় চক্রের মাথা একজনই বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ট্যাব তদন্তে বিকাশ ভবনে টিম পাঠায়েছে লালবাজার। সাইবার এক্সপার্ট নিয়ে গিয়েছেন টিমের লোকজন। পাশাপাশি ট্যাবের টাকা কীভাবে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে যায় তা বুঝতে শিক্ষা দফতর থেকে ফ্লো চার্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য বলছে এখনও পর্যন্ত ৭৮১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়নি। যার ভিত্তিতে ৫৬ টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর, এই দুই জেলাতে সবথেকে বেশি টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)